• বারুইপুরে আবাসনের পুজোয় থিমের পাশাপাশি সাবেকিয়ানা
    বর্তমান | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বারুইপুর: দেখতে দেখতে পুজো এসে গেল। আবাসনের পুজোতেও চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কোথাও থিম, কোথাও সাবেকিয়ানা তুলে ধরা হয়েছে আবাসনে। বারুইপুরের খাসমল্লিকের ইডেন মেঘবালিকা আবাসনের পুজো তিন বছরে পড়েছে। এবারে তাঁদের থিম ‘বারো ঘর এক উঠোন’। জমিদারবাড়ির আদলে মণ্ডপে থাকবে মা দুর্গা। আবাসনের ৩৭০টি পরিবারের কর্তারাও থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সাজবেন ধুতি পাঞ্জাবীতে। জমিদার গিন্নির বেশে লাল পাড় শাড়ি পরবেন আবাসনের মহিলারা। পিউ, পারমিতা, মৌসুমী, সুচরিতা, গার্গী, কাকলিরা পুজোর কাজ পুরুষদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে করেন। পুজো কমিটির কর্তা অয়নকুমার ঘোষ বলেন, পুজোর কয়েকদিন একসঙ্গে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সবই হয়। ধুনুচি নাচ একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য। অন্যদিকে, খাসমল্লিক এলাকার সিগ্ধা সাবার্বিয়া আবাসনের পুজোও তিন বছরে পড়েছে। পুজো কমিটির সদস্য শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সাবেকি প্রতিমা আমাদের। ষষ্ঠী থেকেই চলে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া। অষ্টমীতে আবাসনের বাসিন্দারা নিরামিষ খাই। আবার নবমী ও দশমীর দিন আমিষ হয়। পদে থাকে চিকেন থেকে মাটন, ভেটকি। আবাসনের মহিলা সদস্য বর্ণালী, পায়েল, পৃথা, শর্বাণী, মুগ্ধা বলেন, পুজোর সময় ছেলেরা যেমন লাল পাঞ্জাবী পরে তেমনই আমরা লাল পাড় শাড়ি পরি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয়। নবমীতে বিশেষ আকর্ষণ ডান্ডিয়া নাচ। এছাড়া বিজয়াতে সিঁদুর খেলাও নজর কাড়ে আবাসনে। বারুইপুরের দিলীপ আবাসনের পুজো এবার ষষ্ঠা বছরে পড়েছে। আবাসনের মহিলা সদস্যরা এই পুজো পরিচালনা করেন। মহিলা সদস্য ঈপ্সিতা, মিতা, ঝুমুর, পিয়ালী বলেন, প্রতিমা আমাদেরও সাবেকি। প্রতিমা আনা থেকে শুরু করে বাজার সব আমরাই করি। ষষ্ঠী থেকেই আবাসনের সবাই একসঙ্গে চলে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া। চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। কোদালিয়া বটতলার আম্রকুঞ্জ আবাসনের পুজো ১৯ বছরে পড়েছে। আবাসনের খয়রুল ইসলাম ও তন্ময় মণ্ডল বলেন, ১২২ জন আবাসনের সদস্য। সাবেকি প্রতিমা আমাদের। মহিলাদের শাঁখ বাজানোর প্রতিযোগিতা সহ নানা অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।
  • Link to this news (বর্তমান)