নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: সব প্রস্তুতি সারা। বাকি ছিল শুধু সপরিবারে মা দুর্গাকে মণ্ডপে আনা। তার জন্যই রওনা হয়েছিলেন পোলবার শংকরবাটি বারোয়ারির উদ্যোক্তারা। শেষ পর্যন্ত প্রতিমা মণ্ডপে এল। কিন্তু প্রতিমা আনতে যাওয়া তিনজন ফিরলেন না! শুক্রবার মধ্যরাতে চন্দননগর পটুয়াপাড়া থেকে প্রতিমা নিয়ে গাড়ি বেশ কিছুটা এগিয়ে যায়। পিছনে একটি চারচাকা গাড়িতে আসছিলেন চালক সহ ছ’জন। চন্দননগর উড়ালপুল থেকে নামার কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। পোলবা-দাদপুরের অনন্তপুরে এই ঘটনায় চারচাকা গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সরাসরি ধাক্কা মারে রাস্তার পাশে ইটের পাঁজায়। মৃতদের নাম ভাস্কর দেবধারা (৩০), প্রীতম চক্রবর্তী (৩০) ও স্বপন দে (৩৫)। ভাস্কর শংকরবাটি গ্রামেরই বাসিন্দা। প্রীতম ও স্বপন চন্দননগরের কাঁটাপুকুরের। তাঁরা দু’জন স্থানীয় একটি গাড়ির গ্যারাজের কর্মী। গাড়িতে ভাস্করের ভাই সহ পুজো কমিটির তিন সদস্য ছিলেন। তাঁদের মধ্যে দু’জন গুরুতর জখম অবস্থায় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পিজি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শোকের ছায়া নেমে এসেছে গ্রামে। পুজো উদ্যোক্তা ভোলানাথ মণ্ডল বলেন, ‘প্রতিমা চলে এলেও অন্যরা না ফেরায় ফোন করি। পুলিশ ফোন ধরে এবং দুর্ঘটনার কথা জানায়। দু’জন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। একজন মারা গিয়েছে চুঁচুড়া হাসপাতালে। পুজোটা আমরা বন্ধ করছি না। তবে উৎসবের পরিবেশ আর নেই গ্রামে।’ পোলবা থানা জানিয়েছে, ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তারা জেনেছে, চন্দননগর উড়ালপুল দিয়ে নামার সময়েই গাড়িটি গতি অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। অনন্তপুরে একটি বাঁকের মুখে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে ইটের স্তূপে। উৎসবের আবহে তাই শংকরবাটি গ্রামে এখন শুধুই বিষাদের সুর!