পঞ্চমীতে উপচে পড়া ভিড় শহরতলিতে, দুপুর থেকেই মণ্ডপে দর্শনার্থীরা
বর্তমান | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা: পঞ্চমীতে ভিড় উপচে পড়ল শহরতলি থেকে জেলা। চুঁচুড়া, উত্তরপাড়া থেকে বারুইপুরে দেদার ভিড়ে শামিল হলেন আট থেকে আশি। চলল খাওয়া-দাওয়া, প্যান্ডেল হপিং।
বিকেল গড়ানোর আগেই প্রতিমা দর্শনের ভিড় রাস্তায় নামল। পঞ্চমীর রাতে হুগলির প্রত্যেকটি পুজোবহুল জনপদে বিপুল ভিড় দেখা গিয়েছে। এদিন দিনভর কার্যত বৃষ্টি ছিল না। তার উপরে শনিবার হওয়ায় পুজো দেখতে আমজনতার উৎসাহ ছিল বাঁধনছাড়া। চুঁচুড়া, শ্রীরামপুর, উত্তরপাড়ায় যেমন স্থানীয়দের ভিড় ছিল তেমনই গ্রামীণ এলাকার মানুষও এদিন ভিড় জমিয়েছিলেন শহরে। মণ্ডপে ঘোরার পাশাপাশি শেষবেলার কেনাকাটার ভিড়ও দেখা গিয়েছে। দেদার ব্যবসা করেছেন পুজো মরশুমে রাস্তার ধারে হরেক খাবারের দোকান সাজিয়ে বসা ব্যবসায়ীরা। বড় পুজোর আয়োজকদের পাশাপাশি, ছোটো পুজো মণ্ডপেও বিপুল জলস্রোত দেখা গিয়েছে।
পঞ্চমীর সকালে ছিল বৃষ্টি রোদের খেলা। প্রতিমা দর্শন নিয়ে চিন্তায় পড়েছিল মানুষজন। সন্ধ্যা হতেই দর্শণার্থীদের ঢল বারুইপুরের প্রতি পুজো মণ্ডপে। যানজট সৃষ্টি হয়ে যায় কুলপি রোড ও কল্যাণপুর রোডে, ক্যানিং রোডে। আট থেকে আশি ভিড় লেগে যায় রাস্তায়। বারুইপুরের ফুলতলা থেকে শাসন, বারুইপুরের প্রগতি সংঘে, বিশালক্ষীতলা, সাহাপাড়া, পদ্মপুকুরে ভিড় উপচে পড়ে। যানজটে নাকাল হতে হয় মানুষকে। পাশাপাশি জয়নগরেও পুজো মণ্ডপে ভিড় ছিল দর্শনার্থীদের। তবে বনগাঁতে এখনও তেমন ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। রাস্তায় গাড়ি চলছে। মণ্ডপে মণ্ডপে দর্শনার্থী আসছেন। তবে কিছু লোকজন আছে।
আনন্দের পাশাপাশি বৃষ্টির আশঙ্কাও আছে। শনিবার দুপুরে উলুবেড়িয়া যদুবেড়িয়া কলতলা পুজো কমিটির মণ্ডপে গিয়ে দেখা গেল, মণ্ডপের বাইরে রাখা বিশাল দেবীমূর্তি সাদা পলিথিন দিয়ে ঢাকা। পুজো উদ্যোক্তারা জানান, সন্ধ্যায় পুজোর উদ্বোধন। কিছুক্ষণ আগে এই প্রতিমায় রং করা হয়েছে। যদি বৃষ্টি হয় সব ধুয়ে যাবে। পুজো উদ্যোক্তাদের আশঙ্কাই সত্যি হল। কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভারী বৃষ্টি। আশা-আশঙ্কায় শুরু শ্রেষ্ঠ উৎসব। নিজস্ব চিত্র