নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত নিযুক্ত শিক্ষকদের আবশ্যিকভাবেই উত্তীর্ণ হতে হবে টেট-এ। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পরে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক সংগঠনগুলি এই শিক্ষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে। শনিবারই প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছে শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চ। একই ইস্যুতে এদিন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছে অল পোস্ট গ্রাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনও। কর্মরত শিক্ষকদের এই জটিল পরিস্থিতি থেকে বের করে আনার জন্য সরকারকে উদ্যোগী হতে আবেদন জানিয়েছে তারা।
শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী দাবি করেছেন, সুপ্রিম কোর্ট যাতে তার রায় পুনর্বিবেচনা করে, সেই দাবি জানিয়ে একটি রিভিউ পিটিশন ফাইল করুক সরকার। সেখানে বলা হোক, পিটিটিআই বা বিএড-এর মতো কোর্স করে এই শিক্ষকরা চাকরি পেয়েছেন। প্রয়োজনে তাঁদের কিছু ওয়ার্কশপ এবং ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে যুগোপযোগী করে তোলা হোক। কিন্তু নতুন করে তাঁদের টেটে বসাতে বাধ্য করা একেবারেই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না বলেই তাঁদের দাবি। তিনি এও দাবি করেন, ২০১৭ সালের শিক্ষার অধিকার আইনের একটি সংশোধনীর জেরেই সুপ্রিম কোর্ট এমন রায় দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছিল, যে শিক্ষকদের টেট সার্টিফিকেট নেই, তাঁদের তিন বছরের মধ্যে এতে উত্তীর্ণ হতে হবে। যদিও এই সংশোধনী বৈধ নয়। কারণ ২০১২ সালে শিক্ষার অধিকার আইন সংক্রান্ত সংশোধনীতে বলা হয়েছিল, তিন বছরের মধ্যে ফের কোনও সংশোধনী আনা যাবে। তারপর পরবর্তীতে সরকার এই আইনে কোনও সংশোধন করতে পারবে না। সেই হিসেবে ২০১৫ সালের পরে কোনও সংশোধনী আসারই কথা নয়। এই বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরা উচিত। অল পোস্ট গ্রাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক চন্দন গড়াই শিক্ষামন্ত্রীর কাছে সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন ফাইল করার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে সবিস্তারে আলোচনা করার জন্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে দশজন প্রতিনিধি নিয়ে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছে সংগঠনটি। শিক্ষকদের দুশ্চিন্তা নিরসনে যাতে অতি দ্রুত এই অনুমতি দেওয়া হয়, সেই অনুরোধ করেছে তারা।