• কাছেই হাতির দল, শঙ্কা ঠাকুর দেখায়
    আনন্দবাজার | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • পুজোর মুখে বাঁকুড়ার বড়জোড়ার জঙ্গলে এসেছিল প্রায় ৭০টি হাতির দল। বর্তমানে প্রায় ৬০টি হাতি বড়জোড়ার জঙ্গলে রয়েছে। সন্ধ্যার পরে এমনিতেই খুব সাবধানে যাতায়াত করতে হয় জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দাদের। কাছে-পিঠে হাতি থাকলে ঠাকুর দেখতে যাওয়া পণ্ড হবে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। যদিও পর্যাপ্ত নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছে বন দফতর।

    বড়জোড়ার জঙ্গল সংলগ্ন সরগাড়া, ডাকাইসিনি, কালপাইনি, পাবয়া, সাহারজোড়া, মুক্তাতোড়, কোচকুন্ডার মতো গ্রামগুলির বাসিন্দারা ঠাকুর দেখতে যান বড়জোড়া, বেলিয়াতোড়ে। কোচকুন্ডার তন্ময় কর্মকার বলেন, “সন্ধ্যার পরে হাতির উপদ্রব বাড়ে। তা-ই এ বার আর হয়তো পরিবার নিয়ে ঠাকুর দেখতে যাওয়া হবে না। গ্রামের ভিতরেই খুব সাবধানে যাতায়াত করতে হয়। সেখানে জঙ্গল রাস্তা ধরে সন্ধ্যার পরে যাওয়ার ঝুঁকি নেওয়া মুশকিল।”

    প্রায় একই সুরে পাবয়া গ্রামের কুড়ান রায় বলেন, “জরুরি প্রয়োজন হলে, ঝুঁকি নিয়েই জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। তবে পরিবার ও শিশুদের নিয়ে ঝুঁকি নেওয়া যায় না।” কালপাইনি গ্রামের বিধান রায়ের কথায়, “গ্রামের ছোটদের মন খারাপ হবে। রাতে আলোয় সাজানো মণ্ডপ দেখার মজাই আলাদা। তবে জীবনের ঝুঁকি নেওয়া যায় না।” সমীর সিংহ নামে এক বাসিন্দার কথায়, “বন দফতর নজরদারি করছে। তবে এত হাতি, এত বড় জঙ্গল। কোথায়, কখন বিপদ হবে বলা মুশকিল।”

    তবে বড়জোড়ার রেঞ্জ আধিকারিক সৈয়দ সফিউর রহমান জানান, নজরদারি কয়েক গুণ বাড়ানো হয়েছে। রাস্তায় বন দফতরের গাড়ি থাকছে। পুলিশের তরফেও নজরদারি চলছে। অন্য দিকে, বৃহস্পতিবারই পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডি থেকে ১৭টি হাতির একটি দল ঝাড়খণ্ডে গিয়েছে। তবে তারা ফের সীমানা পেরিয়ে এ পারে আসতে পারে যখন-তখন। চিন্তা থেকেই যাচ্ছে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)