সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্ত চালাচ্ছে পুলিশ! শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই দাবি করলেন ওই পুজোর উদ্যোক্তারা। তাঁদের হুঁশিয়ারি, এ রকম চলতে থাকলে প্রতিমার মুখ এবং মণ্ডপ কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে পুজো বন্ধ রাখতে বাধ্য হবেন তাঁরা। প্রয়োজনে বিসর্জনের আগেই প্রতিমা নিরঞ্জন করে দিতেও বাধ্য হবেন। কলকাতার নগরপাল মনোজ বর্মা যদিও জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাই তাঁদের কাছে সব কিছুর আগে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
পুজোর উদ্যোক্তা তথা বিজেপির পুরপ্রতিনিধি সজল ঘোষের দাবি, পুজো প্রাঙ্গণে গার্ডরেল বসিয়ে রাস্তা সঙ্কুচিত করেছিল পুলিশ। তাঁদের পুজোয় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে যে আলো-ধ্বনির শো চলছে, তা বন্ধ করার চক্রান্ত চলছে। রাজস্থানের যে সংস্থা এই শো করছে, তাদেরও চিঠি দিয়েছে পুলিশ। ওই সংস্থার লাইসেন্স, পুজোর সঙ্গে চুক্তির কাগজ এবং জিএসটি সংক্রান্ত নথি চেয়েছে পুলিশ।
সজলের বক্তব্য, ‘‘পুলিশ এ ভাবে কিছু দেখতে চাইতে পারে কিনা, আমার জানা নেই। পুলিশের সঙ্গে লড়াই করে আন্দোলন করা যায়, পুজো করা যায় না। এমন চলতে থাকলে আমরা পুজো বন্ধ রাখতে বাধ্য হব।’’
তৃণমূল অবশ্য সজলের অভিযোগকে ‘প্রচারের কৌশল’ বলেই মনে করছে। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কথায়, ‘‘সরু রাস্তায় দুর্ঘটনা এড়াতে পুলিশ যা প্রয়োজন বুঝছে, তা-ই করছে। এ নিয়ে ষড়যন্ত্রের কথা বলে বাড়তি প্রচার পেতে চাইছেন উদ্যোক্তা।’’