বিড়াল ধরতে ছোটাছুটি, দৌড়তে গিয়ে ফুটন্ত দুধের পাত্রে উল্টে পড়ল ১৬ মাসের শিশুকন্যা, মুহূর্তের মধ্যে সব শেষ ...
আজকাল | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্কুলের মধ্যে বিড়াল ধরার জন্য ছোটাছুটি করছিল দেড় বছরের শিশুকন্যা। বিড়ালের পিছু নিতে গিয়ে সোজা ঢুকে পড়ে স্কুলের রান্নাঘরে। দৌড়তে দৌড়তে হঠাৎ পা ফসকে উল্টে পড়ে ফুটন্ত দুধের পাত্রে। দগ্ধ অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়াইয়ের তিনদিন পর হার মানল সে। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে শিশুকন্যার।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুরম জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কোরাপাদু গ্রামের এক গুরুকুল স্কুলে ফুটন্ত দুধের পাত্রে অসাবধানতাবশত পড়ে গিয়েছিল ১৬ মাসের এক শিশুকন্যা। দগ্ধ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসা চলাকালীন হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত ২০ সেপ্টেম্বর। দেড় বছরের শিশুকন্যা স্কুলেই একটি বিড়াল ধরার জন্য ছোটাছুটি করছিল। দৌড়তে দৌড়তে স্কুলের রান্নাঘরে ঢুকেই ফুটন্ত দুধের পাত্রে অসাবধানতাবশত পড়ে যায়। দগ্ধ অবস্থায় তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে তার।
পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, দেড় বছরের শিশুকন্যা গোটা শরীর পুড়ে গিয়েছিল। তার মা স্কুলে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করেন। কফি তৈরি করার জন্য স্কুলের রান্নাঘরে যাচ্ছিলেন। সেই সময় মেয়ের কান্নার আওয়াজ পান। ছুটে গিয়েই দেখেন ফুটন্ত দুধের পাত্রে মেয়ে পড়ে গেছে। ঠান্ডা জল ঢেলেই প্রথমে তাকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতেই অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছিল তাকে। এই ঘটনায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৯৪ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে উত্তরপ্রদেশে এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল। দুই বছর আগে ফুটন্ত ডালের গামলায় পড়ে এক খুদের মৃত্যু হয়েছিল। ঠিক একইভাবে ফুটন্ত পাত্রে পড়ে ঝলসে গেল ১৮ মাসের এক শিশুকন্যা। ঘটনাটি ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল এলাকায়। নিছক দুর্ঘটনা না খুন, ঘটনা ঘিরে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন অনেকেই।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্র জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, গত শনিবার দুদ্ধি এলাকায় ফুটন্ত পাত্রে পড়ে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে ১৮ মাসের এক শিশুর। জানা গেছে, শৈলেন্দ্র নামের এক ব্যক্তি ফুচকা, পাপড়ি চাট বিক্রি করেন। ফুচকার জন্য একটি পাত্রে ছোলা সেদ্ধ হচ্ছিল সেদিন।
বড় গামলায় ছোলা সেদ্ধ বসিয়ে পাশের ঘরে কাজে গিয়েছিলেন শৈলেন্দ্রর স্ত্রী। সেই ফুটন্ত গামলার পাশেই আপনমনে খেলছিল শিশুকন্যা। খেলতে খেলতে ফুটন্ত পাত্রে পা হড়কে পড়ে যায়। তার চিৎকার শুনেই ছুটে আসেন মা। তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা চলাকালীন আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঠিক দুই বছর আগে শৈলেন্দ্রর বড় মেয়ে ফুটন্ত ডালের পাত্রে পড়ে ঝলসে মারা গিয়েছিল। দুই কন্যার একই পরিণতিতে সকলেই চমকে গেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের না জানিয়েই শিশুকন্যার দেহ দাহ করেন শৈলেন্দ্র। ফলে ময়নাতদন্তের সুযোগ পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার জেরেই শিশুকন্যার মৃত্যু হয়েছে দাবি করেছেন শৈলেন্দ্র।