জলপাইগুড়িতে উৎসব নির্বিঘ্নে করতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা প্রশাসনের, না মানলেই পদক্ষেপ
বর্তমান | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: উৎসব নির্বিঘ্নে করতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। প্রতিটি পুজো কমিটিকে অক্ষরে অক্ষরে মানতে হবে ওই নির্দেশিকা। না মানলেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশ, লাউড স্পিকার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে মহকুমা শাসকের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। প্যান্ডেলে ঢোকা ও বের হওয়ার গেট রাখতে হবে। প্রত্যেক প্যান্ডেলে বেরনোর জরুরি গেট রাখা আবশ্যক। মণ্ডপ চত্বরে জল, বালি ও অগ্নিনির্বাপক রাখতে হবে। কোনওভাবেই যেন প্যান্ডেল চত্বরে বিদ্যুতের খোলা তার না থাকে। প্যান্ডেল চত্বরে দর্শনার্থীদের জন্য পানীয়জল ও শৌচালয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে। চালু রাখতে হবে পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম ও ২৪ ঘণ্টা সিসি ক্যামেরা। সচেতনতামূলক প্রচারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। পরিষ্কার রাখতে হবে মণ্ডপ চত্বরে খাবারের দোকানের আশপাশ। খাবারের খালি পাত্রে যেন বৃষ্টির জল না জমে।প্রতিটি পুজো কমিটিকে প্রতিদিন দু’জন করে স্বেচ্ছাসেবকের নাম দিতে হবে পুলিশকে। বিসর্জনের আগে পুজোর ফুল, কাপড় ও প্লাস্টিক আলাদা করতে হবে। এরই পাশাপাশি রাত দশটা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত মণ্ডপে লাউড স্পিকার বাজানো যাবে না। স্কুল, হাসপাতাল, নার্সিংহোমের একশো মিটারের মধ্যে মাইক ব্যবহার নিষিদ্ধ। সাউন্ড লিমিটার ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না মাইক। প্যান্ডেলের ২০০ গজের মধ্যে খোলা আগুন বা রান্না নিষিদ্ধ। বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ডিজে, জীবন্ত প্রাণী, লেজার লাইট কিংবা আতশবাজি পুরোপুরি নিষিদ্ধ। সীমাহীন গাড়ি নিয়ে বিসর্জনের শোভাযাত্রায় যাওয়া যাবে না। অযথা বেশি লোক নিয়ে যাওয়া যাবে না বিসর্জনের ঘাটে। জেলাশাসক শমা পারভীন বলেন, উৎসব নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনের তরফে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জারি করা হয়েছে বেশকিছু নির্দেশিকা। প্রতিটি পুজো কমিটিকে ওইসব নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। না মানলে পদক্ষেপ করা হবে। বিসর্জন ঘাটের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। ৪ অক্টোবর কার্নিভ্যাল। সেখানেও পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকবে। জেলা পুলিশ সুপার খণ্ডবাহালে উমেশ গণপত বলেন, পঞ্চমী থেকেই রাস্তায় নেমেছে পুলিশের বাড়তি বাহিনী। মহিলাদের সুরক্ষায় রয়েছে পিঙ্ক পুলিশ ও পুলিশের উইনার্স বাহিনী। সাদা পোশাকের পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে। ট্রাফিক সামলাতে থাকছে প্যান্থার বাইক বাহিনী। রাস্তার পাশে প্রচুর পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পুজোর ভিড়ে যাতে শিশুরা হারিয়ে না যায়, সেজন্য চালু করা হয়েছে চাইল্ড কার্ড। পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র থেকে ওই কার্ড মিলছে। কার্ডে শিশুর নাম, ঠিকানা ও পরিবারের কারও মোবাইল নম্বর লিখে কার্ডটি শিশুর গলায় ঝুলিয়ে দিতে বলা হচ্ছে। যাতে শিশুটি যদি কোনওভাবে ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে যায়, দ্রুত তাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে।