মণ্ডপে পা রেখেই গানের তালে নাচল হোমের শিশুরা, খুশি বিশেষ চাহিদাসম্পন্নরাও
বর্তমান | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: হোমের চার দেওয়ালের মধ্যেই কাটে সারা বছর। বাইরের আনন্দ খুব একটা স্পর্শ করে না ওদের। কিন্তু এবারের পুজোটা ওদের কাছে অন্যরকম। জলপাইগুড়ি সদর ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাসে করে ষষ্ঠীতে ওদের ঠাকুর দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। ফলে আজ, রবিবার সকাল থেকেই খুশিতে মেতে ছিল ওরা। মণ্ডপে পা রাখতেই তা বাঁধ ভাঙে। গানের তালে মণ্ডপেই নেচে ওঠে হোমের শিশুরা। তাদের সঙ্গেই বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদেরও ঠাকুর দেখানোর ব্যবস্থা করেছিল সদর ব্লক প্রশাসন। তাঁরাও শহর ঘুরে ঠাকুর দেখতে পেয়ে যারপর নাই খুশি। সদরের বিডিও মিহির কর্মকার বলেন, তিনটি হোমের শিশু সহ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মিলিয়ে ৪৩ জনকে আমরা দু’টি বাসে করে জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন পুজো দেখানো হয়েছে। ওদের সঙ্গে পুজোর আনন্দ ভাগ করে নিতে আমার মেয়ে আরাধ্যাও ছিল। আমরা সবাই মিলে দারুণ মুহূর্ত কাটালাম। তিনি বলেন, শুধু পুজো দেখানো নয়, হোমের অনাথ শিশু ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য নতুন পোশাক, দুপুরে ভালোমন্দ খাবারেরও ব্যবস্থা ছিল।বেলা এগারোটা নাগাদ হোমের শিশুদের নিয়ে জলপাইগুড়ির দিশারীর মণ্ডপে পৌঁছন জলপাইগুড়ি সদরের বিডিও। সঙ্গে ছিলেন বিডিও অফিসের কর্মীরা। সেই সময়ে প্যান্ডেলে অন্য দর্শনার্থীরাও ছিলেন। মাইকে গান বাজছিল। সবমিলিয়ে খুশিতে উদ্বেল হয়ে নাচ শুরু করে দেয় হোমের শিশুরা। সেই খুশি ভাগ করে নিতে মণ্ডপে ঠাকুর দেখতে আসা দর্শনার্থীরাও দাঁড়িয়ে যান কিছুক্ষণ। হাততালি দিয়ে উৎসাহ জোগান। এদিকে, জলপাইগুড়ির কোরক হোমের শিশুদের কাল, সপ্তমী ও পরশু অষ্ঠমীতে শহরে ঠাকুর দেখাতে নিয়ে যাওয়া হবে। হোমের সুপার গৌতম দাস বলেন, আমরা দু’দিনে ভাগ করে আবাসিকদের ঠাকুর দেখানোর ব্যবস্থা করেছি। পুজোয় ওদের নতুন জামাকাপড় ও জুতো হয়েছে। হোমে ভালোমন্দ নিরামিষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।