• ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে বিষাদ! ভয়ংকর গতিতে ধেয়ে আসা থ্রু ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু পঞ্চমীরাতে...
    ২৪ ঘন্টা | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • বরুণ সেনগুপ্ত: পঞ্চমীর (Durga Puja 2025 Panchami) রাতে শ্যামনগর স্টেশনে (Shyamnagar Rail Station) মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। পঞ্চমীর রাতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে শ্যামনগর স্টেশনে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন দুই ব্যক্তি। পঞ্চমীতে রাত ১১টা নাগাদ থ্রু ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল দুইজনের। তবে প্রথমে তাঁরা গুরুতর আহত হন। ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে (Bhatpara State General Hospital)।

    রেললাইন পার হতে গিয়ে

    ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত দুজনেরই মৃত্যু হল ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। রেল লাইন পার হতে গিয়ে শ্যামনগরে মৃত দুইজন। প্রথমে গুরুতর আহত হন এই দুইজন। থ্রু টেনের ধাক্কায় মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা। মৃতদের নাম পরিচয় উদ্ধার করতে পারেনি রেল পুলিস। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রেললাইন পার হতে গিয়েই অস্বাভাবিক এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় মানুষজন এজন্য আঙুল তুলছেন আরপিএফ আর রেলপুলিসের দিকেই। 

    পঞ্চমীতেই বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়ে জোড়া মৃত্যু

    ওদিকে পঞ্চমীতেই বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়ে শহরে জোড়া মৃত্যু। প্যান্ডেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ঘটে সোনারপুরে। পঞ্চমীর দিন ভোররাতে সোনারপুর থানার অন্তর্গত ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষ পার্ক থার্ড লেনের শান্তি সংঘ ক্লাবে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম বিশ্বজিৎ সাহা (৩৬), বাড়ি সুভাষ পার্ক এলাকায়। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত প্রায় ১টা ১৫ নাগাদ প্যান্ডেলে কাজ করছিলেন বিশ্বজিত্‍। সেই সময় হঠাৎই বিদ্যুতের তার থেকে তিনি শক‌্‌ড হন। সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে সুভাষগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্য দিকে, সরশুনার থানার অন্তর্গত ১২৬ নম্বর ওয়ার্ডের খুদিরাম পল্লীতে সকাল বেলায় জমা জলে দাঁড়িয়ে নিজের দোকানের শাটার খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় শ্রাবন্তী দেবীর, বয়স ৬৬। স্থানীয় মানুষজনের বক্তব্য, জমা জলে দাঁড়িয়ে যখন তিনি দোকানের শাটার খুলতে যান, তখনই এই ঘটনা ঘটে। তাঁর দোকানের দরজা কোনওভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছিল। এবং পায়ের তলায় জল থাকায় সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎপৃষ্ট হন বৃদ্ধা। বৃদ্ধাকে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত্যু বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে তাকে বাঁচাবার জন্য দু'জন হাত দিলে তাঁরাও অল্পবিস্তর বিদ্যুৎপৃষ্ট হন।


    উল্লেখ্য, ২৩ সেপ্টেম্বর কলকাতায় নজিরবিহীন বৃষ্টিতে প্রায় জলমগ্ন শহরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১১জনের।

    ইটের পাঁজায় ধাক্কা মেরে মৃত ৩

    চন্দননগরে শঙ্করবাটি হাই স্কুলে দুর্গা পুজো হয়। চন্দননগর পটুয়াপাড়া থেকে ঠাকুর আনতে গিয়েছিল পোলবার  শঙ্করবাটি গ্রামের বারোয়ারির সদস্যরা।  ঠাকুরের গাড়ি গ্রামে পৌঁছে গেলেও পিছনে থাকা চারচাকা গাড়িটি তখনও পৌঁছয়নি। সেই গাড়িতে চালক-সহ ছয়জন ছিলেন। পুজো কমিটির এক সদস্য জানান, অনেক দেরি হচ্ছে দেখে ওই গাড়িতে থাকা একজনকে ফোন করা হয়। পুলিস ফোন ধরে এবং জানায়, দুর্ঘটনা ঘটেছে। কমিটির সদস্যরা সেখানে পৌঁছন। তাঁদের উদ্ধার করে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পঞ্চমীর মধ্যরাতে চন্দননগর রেল ওভার ব্রিজ থেকে নামার সময় রাস্তার পাশে থাকা ইটের পাঁজায় সজোরে ধাক্কা মারে ওই গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুজনের। চারজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে একজনের মৃত্যু হয়। একজনকে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকি দু'জনের চিকিৎসা চলছে। মৃতদের নাম,ভাস্কর দেবধারা (২৯) বাড়ি সুগন্ধার শঙ্করবাটি, প্রীতম চক্রবর্তী (৩০) ও স্বপন দে(৪০), বাড়ি চন্দননগর কাঁটাপুকুর।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)