• Hooghly Durga Puja: ঐতিহ্য আর থিমের মিশেল, হুগলিতে কোন কোন পুজোয় নজরকাড়া ভিড়?
    এই সময় | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • একসময়ে বাংলার সংস্কৃতির কেন্দ্র ছিল, সেই প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারা আজও বহন করে চলেছে হুগলি জেলা। সেই ঐতিহ্যের ছাপ থাকে দুর্গাপুজোর মণ্ডপগুলিতেও। সাবেকিয়ানার পাশাপাশি থিমের জৌলুস — হুগলির পুজোতে সবরকমের স্বাদ মিলবে। দেখে নেওয়া যাক চুঁচুড়া, সিঙ্গুর, হরিপালের বেশ কিছু সেরা পুজোয় কীরকম আয়োজন —

    এই পুজো ৩২ বছরে পদার্পণ করেছে। ‘নীড় ছোট ক্ষতি নেই ,আকাশ তো বড়’ ভাবনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে থিম। কাঠ, প্লাইউড ও সম্পূর্ণ লোহার ফ্রেম দিয়ে তৈরি হয়েছে মণ্ডপটি। প্রতিমাতেও রয়েছে বিশেষ চমক। চতুর্থ দিন থেকেই মণ্ডপ ও প্রতিমা দর্শন শুরু করেছে দর্শনার্থীরা।

    জিরাটের সবুজ সঙ্ঘের ৬০ বছরে পুজো। থিম কর্নাটকের ইস্কনের মন্দির। বাঁশ, কাঠ, কাপড়, চুমকি, কাঁচ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই মণ্ডপ। মণ্ডপে প্রায় ৩০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট সিঁড়ি রয়েছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য স্টিলের রেলিং করা হয়েছে। মণ্ডপের উচ্চতা ৪৫ ফুট। চতুর্থীর দিন থেকেই মণ্ডপে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।

    লন্ডনের নারায়ণ মন্দিরের আদলে মণ্ডপসজ্জা করা হয়েছে এই পুজোয়।মণ্ডপ উচ্চতায় প্রায় ৯০ ফুট লম্বা ও চওড়ায় ১২০ ফুট। প্রতিমায় সাবেকিয়ানার ছাপ। বাঁশ, প্লাইউড, কাপড় ও ফোম দিয়ে তৈরি মণ্ডপ। প্রতিমাতেও রয়েছে বিশেষ চমক। মা দুর্গার ডান দিকে রয়েছে কার্তিক ও সরস্বতী বাঁদিকে রয়েছে লক্ষী গণেশ। প্রতিমার অলঙ্কার থেকে সাজসজ্জা সবকিছুই মাটির।

    পুজোর থিম ‘ডাকঘর’। কাঠ, বাঁশ, তক্তা, পাট, নারকেল, হোগলা পাতা, খেজুর গাছের ছাল-সহ একাধিক প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়েছে মণ্ডপ।

    ৫৩ বর্ষের পুজোর থিম ‘রঙের হাট’। মণ্ডপ দর্শনে চোখ জুড়িয়ে যাবে দর্শনার্থীদের। বিশেষ নজর কেড়েছে এই পুজোর মণ্ডপসজ্জা।

    প্রথম বর্ষেই ব্যান্ডেল কেওটা অগ্রগামী সংঘের দুর্গাপুজো ঘিরে চমক। এ বছর তাদের ভাবনা মাতৃরূপে ‘রাজস্থানের রূপকথা’। মণ্ডপে রূপকথার আবহ ফুটিয়ে তুলতে ব্যবহার করা হয়েছে কাঠের পুতুল, ফোম, প্লাই,কাস্টিং ফাইবার, কাপড়, চুরি-সহ নানান সামগ্রী।

    উত্তরপাড়ার মাখলা বিবেকানন্দ সঙ্ঘের পুজো এ বছর ১০৫ বছরের পদার্পণ করেছে। বৃক্ষছেদনের প্রতিবাদ জানিয়ে মণ্ডপ নির্মাণ করেছেন উদ্যোক্তারা।

    কোন্নগরের এই পুজোর ৭৩তম বর্ষ। রাজস্থানের রাজমহলের আদতে তৈরি মণ্ডপ। কলকাতা খ্যাতনামা শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইলার হাত ধরে হয়েছে মণ্ডপসজ্জার কাজ। পুরো মণ্ডপে রাজস্থানের বিভিন্ন মহলের অনুকরণে এবং শিল্পী নিজস্ব চিন্তাধারায় তৈরি করা হয়েছে সুবিশাল রাজমহল।

    এই পুজোগুলি ছাড়াও হুগলির বেশ কিছু পুজোয় ভিড় শুরু হয়েছে পঞ্চমী থেকেই। যেমন – শ্রীরামপুরের বঙ্গলক্ষী বাইলেন সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি (থিম:বাক্স বন্দি জীবন), দেশবন্ধু যুবক সমিতি পুজো (থিম: জগন্নাথ মন্দির), হরিপালের নালিকুল বাগচি বাজার সার্বজনীন দুর্গাপুজো (বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী), সিঙ্গুরের মল্লিকপুর বারোয়ারি (থিম: ময়ূর মহল)।

    হুগলিতে প্রাচীনতম পুজোগুলির মধ্যে ঐতিহ্য, আবহের বিচারে এই পুজোর তালিকা আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো। তবে, এগুলি ছাড়াও হুগলিতে আরও একাধিক প্রসিদ্ধ মণ্ডপ রয়েছে। একাধিক পুজো রয়েছে যেগুলি এই তালিকায় স্থান পায়নি। এই সময় অনলাইনে এই পুজোগুলিকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, এমন কোনও বিষয় নেই।

  • Link to this news (এই সময়)