• ‘সরকারি ভাতায় দিন চলে না, কাজ চাই...’, লড়ে যাচ্ছেন কালনার বিষ্ণুপ্রিয়া
    এই সময় | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • জন্ম থেকেই পোলিও আক্রান্ত। হামাগুড়ি দিয়ে কোনওরকমে হাঁটাচলা করতে হয়। সরকারি ভাতাতে সংসার চালানো দায়। তবে লড়াইটা ছাড়েননি বর্ধমানের রায়নার বিষ্ণুপ্রিয়া দাস (৩৪)। বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াই। ছোটোখাটো যে কাজ জোটে, তাতে দু’বেলা খাবার জোগাড় করতেই সমস্যায় পড়তে হয়। সরকারি যদি একটা কাজ জুটত — আর্জি বিষ্ণুপ্রিয়ার।

    বর্ধমানের রায়না-২ ব্লকের পলাশন পঞ্চায়েতের নলে গ্রামের বাসিন্দা বিষ্ণুপ্রিয়া। ২০০৫ সালে বিশেষ ভাবে সক্ষম-এর সার্টিফিকেট পান। মেলে সরকারি ভাতাও। ৬০০ টাকা থেকে শুরু। বর্তমানে ভাতা জোটে ১০০০ টাকা। সরকারি সাহায্যের আশায় বিডিও থেকে পঞ্চায়েত, দরজায়-দরজায় ঘুরেছেন বিষ্ণুপ্রিয়া।

    বিষ্ণুপ্রিয়ার মা বলেন, ‘স্বামীর বয়স হয়েছে, সেই রকমভাবে দিন মজুরির কাজও করতে পারেন না। এক ছেলে আলাদা থাকে। জন্ম থেকেই পোলিও আক্রান্ত আমার মেয়েটিকে নিয়ে খুব অসহায় ভাবে দিন কাটছে। ভেবেছিলাম সরকারি সাহায্য অন্তত মেয়েটার চলে যাবে,কিন্তু চলছে না। মেয়েটা তো শিক্ষিত। একটা কাজ যদি জোটে, তা হলে খুব ভালো হয়।’

    বিষ্ণুপ্রিয়ার কথায়, ‘অবহেলিত ভাবে নয়, বাঁচার মতো বাঁচতে সকলের দরজায় দরজায় ঘুরেছি। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে যদি কিছু সাহায্য মেলে।’ রায়না-২ এর বিডিও অনিশা যশ বলেন, ‘বিষ্ণুপ্রিয়া আমার দপ্তরের এসেছিলেন। সত্যিই অসম্ভব মনের জোর। আমাদের তরফ থেকে যতটা করার করেছি। বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত করাহয়েছে। ও এ বারে একটা কাজ চাইছে, এই অফিসে একটা কাজ পেলে ওঁর ভালো হয়। আগামী দিনে প্রশাসনিক ভাবে যতটা করা সম্ভব, আমরা ওঁর পাশে থাকব।’

  • Link to this news (এই সময়)