বঙ্গ থেকে এখনও বিদায় নেয়নি বর্ষা। এর মধ্যেই দুর্গাপুজো পড়ে গিয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে উত্তরবঙ্গে ভারী বর্ষণ হয়েছে। ডুবেছে জমির ফসল। ফলে বাজারে সবজির আমদানি হয়েছে কম। নতুন সবজি পেতে অক্টোবর মাস পেরিয়ে যাবে। তাই উত্তরবঙ্গের বাজারে আকাশছোঁয়া সবজির দাম। পুজোর আগে পর্যন্ত যে সবজির দাম কিছুটা হলেও কম ছিল সেগুলি বর্তমানে প্রতি কেজিতে ২০–৩০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। দাম বেড়েছে ফুলকপি, পটল, বেগুন, উচ্ছে সব কিছুরই। সেই কারণ বাজেটে কাটছাট করছেন পুজো কমিটিগুলি।
পুজোর দিন যত এগোচ্ছে ততই বাড়ছে আনাজের দাম। সব সবজিরই দাম ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা কেজির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। শুধু আলু আর পেঁয়াজ সস্তায় পাওয়া যাচ্ছে। উত্তরের প্রায় প্রতিটি খুচরো বাজারে আলুর দাম ২০ টাকা আর পেঁয়াজ ৩০ টাকা কেজি। বাকি সব সবজিরই দাম বেশি। মহালয়ার আগে যে বিট ও গাজর ৪০–৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল সেগুলিই বর্তমানে দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বৃষ্টির জন্য সবজির ক্ষতি হয়েছে। পাইকারি বাজারে আমদানির পরিমাণ খুবই কম। তাই খুচরো বাজারে দাম বেড়েছে। লঙ্কার দাম তো আকাশছোঁয়া। রবিবার খুচরো বাজারে লঙ্কার দাম ১৬০ টাকা কেজি। উচ্ছের দাম ৬০–৮০ টাকা প্রতি কেজি। বিনস বিকোচ্ছে ১০০ টাকা প্রতি কেজি দরে। দাম বেড়েছে পটল, কচু, ফুলকপি, গাজর, বিট ইত্যাদিরও। এক চাষি জানিয়েছেন, প্রথমে অনাবৃষ্টিতে সবজি শুকিয়ে গিয়েছে। সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে না করতে অতিবৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়েছে। মাঠে ফসল না থাকায় আমদানিও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এরফলে খুচরো বাজারে দাম বেড়েছে আনাজের।
পুজোর সময় অনেক সবজিই পাওয়া যাচ্ছে না। পুজোর দিনগুলিতে নতুন সবজিও মিলবে না। তাই এই পরিস্থিতি আরও কিছুদিন চলবে। অক্টোবরের শেষের দিক থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে। সবজির পাশাপাশি ইলিশের দামও আকাশছোঁয়া। বাংলাদেশ থেকে ইলিশ ঢোকার পর অনেকে মনে করছিল খুচরো বাজারে এর দাম কমবে। কিন্তু তা পুজোর সময় আশাহত হতে হচ্ছে ভোজনরসিকদের। খুচরো বাজারে ইলিশ দেড় থেকে আড়াই হাজার টাকায় বিকোচ্ছে। বড় মাপের ইলিশ ২৩০০ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। ছোটো ও মাঝারি ওজনের ইলিশের দাম তুলনামূলকভাবে কম। তবে ফিস মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছর ইলিশের স্বাদ ও মানে সন্তুষ্ট হবেন ক্রেতারা।