• অনুমতি নেই, বন্ধ পূর্ত বিভাগের জায়গায় বিশ্বভারতীর তোরণ তৈরির কাজ
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে তোরণ নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অভিযোগ, পূর্ত দপ্তরের জায়গায় তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। তার জন্য কোনও অনমতি নেওয়া হয়নি। এই কারণে তোরণ নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। বিষয়টি বোলপুুরের মহকুমাশাসক-সহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

    ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের সম্মানে ভূষিত শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট চারটি প্রবেশ পথ রয়েছে। সেই চারটি প্রবেশ পথে চারটি বড় তোরণ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপাচার্য প্রবীরকুমার ঘোষ। শিল্পী সুরেন্দ্রনাথ করের স্থাপত্য শৈলীতে শান্তিনিকেতনকে পর্যটকদের সামনে তুলে ধরতেই এই তোরণ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এর মধ্যে রাজ্য সরকারের দমকল বিভাগের সামনের রাস্তায় একটি, দ্বিতীয়টি শান্তিনিকেতন রোডে একটি কবিগুরু হস্তশিল্প মার্কেটের কাছে, তৃতীয়টি শ্যামবাটি বাজার সংলগ্ন এলাকায় এবং চতুর্থ তোরণটি তৈরি হবে কালিসায়র মোড় সংলগ্ন এলাকায়।

    শান্তিনিকেতন রোডে রতনকুঠি গেস্ট হাউস সংলগ্ন এলাকায় তোরণের জন্য রাস্তার দুই দিকে মাটিতে গর্ত করে রড সিমেন্ট দিয়ে ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়েছিল। এই জমিটি পূর্ত দপ্তরের। এ বিষয়ে বোলপুর পূর্ত বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার রাজকুমার বাঁঠিয়া প্রশ্ন তোলেন রাজ্য সরকার, জেলা প্রশাসন ও পূর্ত দপ্তরের অনুমতি ছাড়া পূর্ত দপ্তরের জমিতে কেন এই নির্মাণকাজ শুরু করা হল?

    কবিগুরু হস্তশিল্প মার্কেটের কাছে তোরণ নির্মাণের জন্য মাটি খোঁড়া শুরু করেছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। তবে ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ দেখালে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে পূর্ত দপ্তরের জমিতে এভাবে তোরণ তৈরির জন্য কোন অনুমতিপত্র দেখাতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পুজোর ছুটি থাকায় এবিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোও বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)