দেব গোস্বামী, বোলপুর: ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় নানুরের হাটসেরান্দিতে গ্রামের বাড়ির পুজোয় শামিল হলেন অনুব্রত মণ্ডল। সঙ্গে ছিলেন মেয়ে সুকন্যাও। মেয়ের আবদারে দেবী প্রতিমার সামনে সেলফি তুলতেও দেখা গেল দাপুটা তৃণমূল নেতাকে।
বোলপুরের নানুর থানার হাটসেরান্দি গ্রামে বেশ কয়েকটি দুর্গাপুজো হয়। গ্রামের মণ্ডল বাড়ির শতাব্দী প্রাচীন পুজো কয়েক দশক ধরে ‘অনুব্রত মণ্ডলের গ্রামের বাড়ির পুজো’ হিসেবেই খ্যাত। প্রতি বছর এই পুজোয় অংশ নেন অনুব্রত মণ্ডল। সঙ্গে থাকেন মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। পুজোর ৪ দিন গ্রামবাসীরা মুখিয়ে থাকেন এই পুজোর জন্যই। বিশাল সেই আয়োজন, খাওয়া-দাওয়া, নেতা-মন্ত্রীদের গাড়ি, কনভয়। অনুব্রত মণ্ডলকে দেখতে উপচে পড়ে ভিড় প্রভৃতি। মাঝে কয়েকবছর জেলবন্দি থাকায় পুজোয় অংশ নিতে পারেননি তিনি। গতবছর ফের পুজোয় শামিল হন কেষ্ট। এবারও অন্যথা হল না।
এবার মহাষষ্ঠীর সকালে মেয়ে সুকন্যাকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যান অনুব্রত মণ্ডল। প্রতিমার গয়না পরানোর দিকটা দেখেন তিনি। গ্রামের সকলের সঙ্গে কথা বলেন। পুজোর ক’টা দিন খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে। তার প্রস্তুতি ঠিকঠাক হয়েছে কিনা এদিন তাও দেখেন অনুব্রত। কেষ্ট বলেন, “গ্রামের বাড়ির পুজো ভালো লাগারই। ছোটবেলায় যখন আসতাম রাস্তাঘাট মাটির ছিল। পুজোর দিন বৃষ্টি পড়লে পড়ে যেতাম। জামা-প্যান্ট ভিজে যেত। কাঁদতাম। তা সত্ত্বেও আলাদা একটা এনার্জি ছিল।” তিনি আরও বলেন, “আমার দাদুরা পাঁচ ভাই ছিলেন। তার মধ্যে ২ ভাইয়ের কোনও সন্তান ছিল না। এই পুজো কমপক্ষে ১৪০ থেকে ১৫০ বছরের। তবে আমাদের অরিজিনাল পুজো নানুরের বঙ্গছত্রের। আমি চাই পুরো বীরভূম জেলার মানুষ ভালো থাকুক, মা যেন সবাইকে ভালো রাখেন, এই কামনায় আমি প্রতি বছরের মতো ৪ দিন পুজো দেব।”