লে-তে কার্ফু অব্যাহত, বন্ধ ইন্টারনেট, পুলিশের গুলিতে মৃত ‘কার্গিল ওয়ার হিরো’র শেষকৃত্য সম্পন্ন
বর্তমান | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নয়াদিল্লি: জীবন বাজি রেখে দেশের ভূখণ্ড রক্ষা করেছিলেন সেওয়ান থরচিন। বুধবার অশান্ত লাদাখে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় সেই প্রাক্তন সেনার। কার্গিল ওয়ার হিরো থরচিনের মৃত্যুতে শোকস্তদ্ধ লে থেকে আট কিলোমিটার দূরের সাবু গ্রাম। চোখের জলে শেষ বিদায় জানাল ৪৬ বছর বয়সি থরচিনকে। সেনাবাহিনী থেকে অবসরের পর লে-তে একটি পোশাকের দোকান খুলেছিলেন তিনি। ২৪ সেপ্টেম্বর লে-তে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি চালায়। মৃত্যু হয় থরচিন সহ চারজনের। লাদাখের লেফটেন্যান্ট গভর্নর কোবিন্দর গুপ্তা মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
হিংসার পর পাঁচদিন কেটে গিয়েছে। এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি লে শহরে। এই পরিস্থিতিতে কার্ফুর মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। মোবাইল-ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে লে এবং কার্গিলে। সিআরপিএফ, আইটিবিপির জওয়ানারা জায়গায় জায়গায় টহল দিচ্ছেন। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে ফ্ল্যাগ মার্চ করছে বাহিনী।
এদিকে অশান্তির জেরে বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে লাদাখের পর্যটনে। আন্দোলনের জেরে অনেকেই হোটেল বা হোম স্টে বুকিং বাতিল করছেন। লাদাখ ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট দুরজয় স্ট্যাম্পা বলেন, ‘অন্তত ৩০ শতাংশ বুকিং বাতিল হয়েছে। প্রত্যেক ট্যুর অপারেটরই বুকিং বাতিল চেয়ে ক্ল্যায়েন্টদের ফোন পাচ্ছেন।’
এই অবস্থায় লাদাখের অশান্ত পরিস্থিতির জন্য বিজেপি এবং আরএসএসকেই দায়ী করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। রবিবার এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘লাদাখের মানুষজন স্বাধিকারের দাবি তুলেছেন। চারজন মানুষকে খুন করে এবং সোনাম ওয়াংচুককে জেলবন্দি করে বিজেপি তার প্রত্যুত্তর দিয়েছে।’ এদিকে সোনামের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করেছেন স্ত্রী গীতাঞ্জলি অ্যাঙ্গমো। তিনি বলেছেন, সোনাম পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল, নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সেমিনারে। লাদাখের বিক্ষোভে সোনামের ইন্ধন থাকার অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন অ্যাঙ্গমো। বলেছেন, সোনাম গান্ধীবাদী আন্দোলনে বিশ্বাসী।