ষষ্ঠীতে দেবীকে প্রায় চল্লিশ ভরি সোনা পরিয়ে আরাধনা, তান্ত্রিক মতে হয় ৫০০ বছরের পুরনো পুজো
বর্তমান | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সোমেন পাল, গঙ্গারামপুর: পরম্পরা মেনে ষষ্ঠীতে, বোধনের দিনে কয়েক শতাব্দী প্রাচীন দুর্গাবাড়ির মা দুর্গাকে সোনা পরিয়ে দেওয়া হল। এদিন বিকেলে নিজ হাতে মাকে সোনা পরিয়ে দেন গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র। গঙ্গারামপুর মহকুমা তথা জেলার অন্যতম পুজো এটি।
পুজোকে ঘিরে শহরবাসী তথা এলাকার মানুষের আলাদা অনুভূতি রয়েছে। মা দুর্গা পঞ্চমুণ্ডির আসনে পুজো হয়। ষষ্ঠীতে ঘট বসে। দেবীকে আসনে বসানোর আগে স্বর্ণালংকারে সাজিয়ে তোলা হয়। নিয়ম করেই ছোট থেকে মাকে সাজিয়ে তোলার কাজ করেন প্রশান্ত মিত্র। ষষ্ঠীর দিনে উপোস করে দেবী দুর্গাকে সোনা পরানো হয়। প্রায় পাঁচশো বছরের পুরনো এই পুজো। শুরু থেকেই দেবী দুর্গাকে ষষ্ঠীর বোধনের আগে সোনা পরিয়ে দেওয়া হয়। দেবীর মুকুট থেকে হাত, কান, গলার একাধিক স্বর্ণালংকার পরানো হয়।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, প্রত্যেক বছর দেবীকে নতুন অলংকার তৈরি করে দেওয়া হয়। বর্তমানে দেবীর স্বর্ণালংকার ৩০ থেকে ৪০ ভরি। মনস্কামনা পুরণ হলে ভক্তরাও মাকে গয়না বানিয়ে নিবেদন করেন।
প্রত্যেকদিন অন্নভোগ দিয়ে পুজো হয় দুর্গা মন্দিরে। পঞ্চমুণ্ডির আসনে তুললেই দেবীর রুদ্রমূর্তি ফুটে ওঠে। পুজোকে ঘিরে নানা জনশ্রুতি রয়েছে। তবে আজও শহরবাসী প্রথমে এই দেবীকে দর্শন করেন। তারপরই শুরু হয় শহরের পুজো পরিক্রমা। দর্শনার্থী থেকে এলাকার সাধারণ মানুষ- সবার জন্য প্রসাদের ব্যবস্থা থাকে অষ্টমী ও নবমীতে।
রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র ও তাঁর ভাই প্রশান্ত মিত্র পুজোর পাঁচটা দিন এই মণ্ডপে কাটান। গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র বলেন, ছোট থেকেই দুর্গাবাড়ি পুজোর সঙ্গে যুক্ত। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। উপোস করে মাকে পঞ্চমুণ্ডির আসনে তোলার আগে সোনা পরিয়ে দেওয়া হয়। সাজাতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে। পুজোর পাঁচদিন আমি মণ্ডপে থাকি। অষ্টমী ও নবমীতে গোটা পাড়ার মানুষ মণ্ডপে এসে মায়ের ভোগ নেন। আমাদের পুজোর নিয়ম নিষ্ঠা আগের মতোই রয়েছে। তান্ত্রিক মতে দেবীর পুজো হয়। বলিপ্রথা থাকলেও এখন কুমড়ো, ফল