বড় পুজোর উদ্বোধনে ডাক পেল না বিজেপি, জনসংযোগ ফ্লপ, পূর্ব বর্ধমানে হতাশ নেতারা
বর্তমান | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: সবুজ দুর্গ পূর্ব বর্ধমানে একটিও বড় পুজো মণ্ডপ উদ্বোধন করার ডাক পেলেন না বিজেপি নেতারা। কলকাতার পর দক্ষিণবঙ্গের সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় পুজো হয় শস্যগোলায়। সব মিলিয়ে জেলায় ছ’হাজারের বেশি পুজো হচ্ছে। তার মধ্যে সর্বজনীন পুজো রয়েছে চার হাজারের বেশি। বর্ধমান শহরে প্রায় ৪০টি বিগ বাজেটের পুজো হচ্ছে। কিন্তু কোনও বড় পুজো মণ্ডপে ফিতে কাটার জন্য রাজ্য বা জেলার নেতারা ডাক পেলেন না। পুজোর দিনগুলিতে ব্যাপক জনসংযোগ করার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য নেতৃত্ব। পুজো মণ্ডপগুলির সামনে স্টল তৈরির জন্য বলা হয়। এছাড়া প্রতিটি মণ্ডপে শাড়ি বিতরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কোনও কিছুই সফলভাবে করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। বর্ধমান শহরের বিগ বাজেটের পুজো মণ্ডপগুলির সামনে তাদের স্টল নেই। হাতেগোনা কয়েকটি এলাকায় শাড়ি বিতরণ করে তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে ‘বন্ধু মনোভাবাপন্ন’ ক্লাব খুঁজতেও তারা ব্যর্থ। বিজেপির কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিতেও অধিকাংশ পুজো কমিটি এগিয়ে আসেনি। তবে উৎসবের দিনগুলিতেও শহরে দাপট দেখিয়েছেন তৃণমূল নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা। বিভিন্ন জায়গায় তারা জাগো বাংলা স্টল তৈরি করেছে। অধিকাংশ বড় পুজো মণ্ডপ উদ্বোধনে হাজির ছিলেন শাসক দলের নেতারা। বর্ধমান থেকে কাটোয়া, কালনা সব জায়গাতেই ছবিটা ছিল একই রকম।
বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস বলেন, বিজেপি নেতাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই। ওঁরা সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে থাকেন না। সেই কারণেই উৎসবের দিনগুলিতেও তাঁদের কেউই ডাকছে না। যুব তৃণমূলের সভাপতি রাসবিহারী হালদার বলেন, আমরা সারা বছর মানুষের পাশে থাকি। উৎসবের দিনগুলিতে মানুষকে যেটুকু পারছি সহযোগিতা করছি। পুজো কমিটিগুলির পাশেও আমরা থাকি। সেই কারণে সবাই আমাদেরই ডাকে। বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকার বলেন, মহালয়ার দিন থেকে পুজো উদ্বোধন শুরু করেছি। চতুর্থী পর্যন্ত একটানা মণ্ডপ উদ্বোধনের ডাক পেয়েছি।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের পুজোয় কোমর বেঁধে ময়দানে নামার জন্য বিজেপি নেতৃত্ব সবরকম চেষ্টা করেছিল। পুজো কমিটিগুলির সঙ্গেও তারা যোগাযোগ করে। কিন্তু কেউই তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। সেই কারণে জেলা পার্টি অফিসের কাছে একটি বড় স্টল করেই তাদের থেমে থাকতে হয়েছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য উৎসবের মরশুমে বর্ধমানে এসে বলেন, একসময় এই জেলা লাল দুর্গ ছিল। মানুষ তা ভেঙে দিয়েছে। তৃণমূলকেও সরিয়ে দেবে। জেলার বাসিন্দাদের আহ্বান জানাব, ‘নো ভোট টু বিজেপি’ করবেন না। নোটায় ভোট দেবেন না। জেলার বিজেপি নেতা রাজু পাত্র বলেন, বিভিন্ন জায়গায় আমাদের কর্মসূচি চলছে। ক্যাম্প করা হয়েছে। আমরা মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ সারছি।