• নাদনঘাটে অনাথ ও বৃদ্ধাশ্রমে জীবন্ত দুর্গার আরাধনায় মন্ত্রী
    বর্তমান | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কালনা: নাদনঘাট থানার দামোদরপাড়ায় অনাথ ও বৃদ্ধাশ্রমে জীবন্ত দুর্গার আরাধনায় মাতলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও সেখানকার আবাসিকরা। রবিবার মহাষষ্ঠীর পুণ্যলগ্নে আশ্রমে মৃন্ময়ী মায়ের পাশাপাশি চিন্ময়ী মানব পুজোয় মাতেন মন্ত্রী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার, অভিনেত্রী শ্রীতমা ভট্টাচার্য, এলাকার বাসিন্দা ও  বিশিষ্টরা। এবার এই পুজো ২৬ বছরে পা দিল। থিম করা হয়েছে, আমরা বাঙালি, বাংলা মোদের গর্ব। আশ্রম চত্বরে বাংলার মহাপুরুষ, মনীষী থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ছবিতে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। পুজো দেখতে বহু মানুষ হাজির ছিলেন।

    আড়াই দশক ধরে নাদনঘাট থানার দামোদরপাড়ায় সমাজকল্যাণ হোম অনাথ ও বৃদ্ধাশ্রমে দুর্গাপুজো করে আসছেন আশ্রমের পৃষ্ঠপোষক মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। মৃন্ময়ী দেবী দুর্গার পাশাপাশি অনাথ আশ্রমের কচিকাঁচাদের চিন্ময়ী দেবী রূপে পুজো করে আসছেন তিনি। অনাথ আশ্রমে ১৮ জন অনাথ শিশুসহ মোট ২২ জন আশ্রমিক বৃদ্ধবৃদ্ধা থাকেন। পুজোর চারদিন নানা অনুষ্ঠানের পাশাপাশি চলে আশ্রমিক ও আশেপাশের কয়েকশো মানুষের ভূরি ভোজ ও নতুন বস্ত্র বিতরণ। আলোয় সাজিয়ে তোলা হয়েছে আশ্রম চত্বর।

    দেবী দুর্গা সাজে সেজেছে অনাথ রিয়া ওরাও, অসুর সুমি মাণ্ডি, লক্ষ্মী সুরলীনা মাণ্ডি, সরস্বতী প্রমিলা হাঁসদা, গণেশ স্নেহাশিস মণ্ডল, কার্তিক গোপাল সরকার, সিংহ রাজেশ মুর্মু ও ইঁদুর সাজে ছোট্ট বিপিন হাঁসদা। বিশেষভাবে সক্ষম ঝুমাও হুইল চেয়ারে ওদের পাশে থেকে উৎসবে মেতে ওঠে। সত্তর ঊর্ধ্ব বৃদ্ধ দৃষ্টিহীন সৃষ্টিধর সাঁতরা কাঁপা হাতে ঢাকের তালে কাঁসর বাজিয়ে সকলের মন জয় করেন।

    স্বপনবাবু বলেন, আশ্রম গড়ে ওঠার পর অনাথ শিশু ও বৃদ্ধবৃদ্ধাদের কথা ভেবে আশ্রমেই দুর্গাপুজো শুরু করি। এমনিতে সময় পেলে আমার ঠিকানা হয় অনাথ ও বৃদ্ধাশ্রম। পুজোর পাঁচদিন আমি ওদের সঙ্গে থাকি। ওদের মধ্যে খুঁজে পাই হারানো শৈশবের আনন্দ। মৃন্ময়ী মায়ের পাশাপাশি ছোট ছোট্ট ছেলেমেয় ও অসহায় বৃদ্ধবৃদ্ধারাই আসল মায়ের রূপ। যতদিন পারব ওদের সঙ্গেই পুজোর আনন্দ ভাগ করে নেব।
  • Link to this news (বর্তমান)