নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পুজোকেন্দ্রিক অস্থায়ী বিজ্ঞাপনে মুখ ঢেকেছে শহর। সর্বত্র আলোর রোশনাই, বিজ্ঞাপনের গেট থেকে শুরু করে ব্যানার-হোর্ডিং। রাস্তার দু’ধারে ফুটপাতজুড়ে বাঁশের অস্থায়ী কাঠামোতে লাগানো বিজ্ঞাপন। চোখ ধাঁধানো এই চাকচিক্যের পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন জায়গায় অন্ধকারে ডুবেছে ফুটপাত। বিভিন্ন দোকানের আলো জ্বললে ঠিক আছে, তা না হলে বিজ্ঞাপনী হোর্ডিং-ব্যানারে আটকে যাচ্ছে আলো, ফুটপাত থেকে যাচ্ছে অন্ধকারে। ফলে অনেকাংশেই হাঁটতে সমস্যা হচ্ছে পথচারীদের।
প্রদীপের নীচেই যেন অন্ধকার। উল্টোডাঙা হাডকো মোড় কিংবা হাতিবাগানের ফুটপাত— ছবিটা সর্বত্রই এক। যার জেরে সমস্যায় পড়ছেন পথচলতি মানুষ। যেসব জায়গায় দোকান খোলা, সেখানে অবশ্য তার আলোতেই আলোকিত হচ্ছে ফুটপাত। আবার যেখানে বিজ্ঞাপনী হোর্ডিং তিন-চারতলা সমান ও আশপাশের দোকানপাট বন্ধ, সেখানে ফুটপাতই চলে গিয়েছে অন্ধকারের কবলে। এ এক আলো-আঁধারি পরিস্থিতি। এই অবস্থায় হাঁটাচলা করতে সমস্যা হচ্ছে পথচারীদের।
উল্টোডাঙ্গার বাসিন্দা তমাল কর বলেন, আমাদের এলাকায় অনেক জায়গাতেই ফুটপাত খারাপ। ফলে এমন আলো-আঁধারি পরিস্থিতিতে ভাঙা ফুটপাতে হোঁচট খাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিজ্ঞাপনের ব্যানারগুলি অন্যভাবে লাগালে এমন অবস্থা হয় না। হাতিবাগানে নটী বিনোদিনী থিয়েটারের বাইরে বেরিয়ে কাশী বোস লেনের দিকে যাওয়ার সময়ও ফুটপাতের খানিকটা এমন অন্ধকারাচ্ছন্ন। স্থানীয় দোকানদার অসীম গুপ্ত বলেন, দোকান খোলা থাকলে দোকানের আলোতে ফুটপাত আলোকিত হয়। কিন্তু দোকান বন্ধ করলেই সামনের অংশে নেমে আসে অন্ধকার। বয়স্কদের ফুটপাত ধরে হাঁটতে সমস্যা হয়। এই বিষয়ে পুরসভার বিজ্ঞাপন বিভাগের এক কর্তা বলেন, পুজোর সময় এভাবেই বিজ্ঞাপন লাগানোর চল রয়েছে। নতুন করে কোনও ভাবনা-চিন্তা করা যায় কি না, দেখতে হবে। তবে কোনও ফুটপাত খুব বেশি অন্ধকার থাকে, এমনটা নয়। রাস্তার আলো বিজ্ঞাপনের ব্যানারের নীচে দিয়ে ফুটপাতে পড়ে। আলো-আঁধারি পরিস্থিতিতে খুব একটা সমস্যা হয় না। কিন্তু ফুটপাত খারাপ, ভাঙাচোরা থাকলে সেটা অন্য বিষয়।