• সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো ঘিরে বিতর্ক থামার নাম নেই, এবার বড় দাবি পুলিশের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার। প্রতিবছরের মতোই এবারও সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো দেখতে জনতার ঢল নেমেছে। চলতি বছরে এই পুজো মণ্ডপের বাড়তি চমক অপারেশন সিঁদুর থিম। তবে এই সবের মাঝে পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা তথা বিজেপি নেতা সজল ঘোষ অভিযোগ করেন, ইচ্ছাকৃতভাবে পুলিশ বাধা তৈরি করছে, যেন এই পুজো সফল না হয়। তবে বিজেপি কাউন্সিলরের এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবার মুখ খুললেন ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়।

    সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার বিতর্ক নিয়ে পুলিশ আধিকারিক দাবি করলেন, তাঁকে কাছে পরপর অভিযোগ আসছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো নিয়ে। দাবি করা হচ্ছে, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে যে ডকুমেন্টারি দেখানো হচ্ছে, তার আওয়াজে আশেপাশের এলাকার অনেক অসুস্থ মানুষের সমস্যা হচ্ছে। ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মুচিপাড়া থানায় একাধিক অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া ১০০-তে ডায়াল করেও অনেকেই অভিযোগ জানিয়েছেন। যদিও এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সজলের পালটা বক্তব্য, 'এমন কিছু নাম দিয়ে করানো হচ্ছে, যে নামের মানুষ এখানে নেই।'

    সজল ঘোষের দাবি, এই পুজো চালাতে দেওয়া হবে কি হবে না, সেটা নিয়ে পুলিশ বারবার বিভ্রান্তিকর অবস্থান নিচ্ছে। লিখিত নির্দেশ দিতে বলা হয়েছে, কিন্তু কেউ কিছু জানাচ্ছে না। মনে হচ্ছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উদ্বোধন করার পর থেকেই এই পুজোকে নিশানা করা হচ্ছে। উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো চালানো সংস্থাকে নোটিস পাঠিয়েছে মুচিপাড়া থানার পুলিশ। চুক্তিপত্র, জিএসটি-সংক্রান্ত কাগজ থেকে শুরু করে সাউন্ড লিমিটের নথি পর্যন্ত হাজির করতে বলা হয়েছে। উদ্যোক্তাদের প্রশ্ন, দুর্গাপুজোর মতো উৎসব আয়োজন করতেও কি এত জটিল প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়তে হবে? শুধু তাই নয়, সজল ঘোষ অভিযোগ করেছেন, তাঁদের এলাকায় নিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। তাঁর বক্তব্য, আগেও এক প্যান্ডেল এভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এ বারও একই ফাঁদ পাতা হচ্ছে। দুর্ঘটনার নাম করে উদ্যোক্তাদের দোষী বানানোর চেষ্টা চলছে।

    ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যারিকেড নিয়েও। সজল ঘোষের দাবি, ৪০ ফুট রাস্তা গার্ডরেল বসিয়ে ১৫ ফুট করে দেওয়া হয়েছে। ফলে মানুষকে কয়েকশো মিটার পথ যেতে গিয়ে কয়েক কিলোমিটার ঘুরতে হচ্ছে। যদিও কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, পুলিশের কাছে মানুষের নিরাপত্তাই প্রধান। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। প্রচুর ভিড় হলে রিফেল এফেক্ট তৈরি হয়। সেসব এড়াতেই এই ব্যবস্থা। কারও পুজো বন্ধ করার কোনও উদ্দেশ্য নেই।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)