'যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই', গোপাল ভাঁড়কে স্মরণ করে সেজে উঠেছে 'আমরা সবাই দুর্গোৎসব কমিটি'র মণ্ডপ
আজকাল | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে। আলোর রোশনাইয়ে সেজে উঠেছে শহর থেকে গ্রাম। দিকে দিকে উৎসবের আমেজে গা ভাসিয়েছেন সাধারণ মানুষ। শহর থেকে মফঃস্বলে বনেদি বাড়ির পুজো থেকে বারোয়ারি পুজো ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে। এর মাঝেই শান্তির বার্তা নিয়ে হাজির এক পুজো কমিটি।
'যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই'। এটাই এবারের পুজোয় বার্তা উত্তর কলকাতার 'আমরা সবাই দুর্গোৎসব কমিটি'র। চলতি বছরে শান্তির বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে তারা। কেন শান্তির বার্তা ছড়াতে চাইল পুজোর আবহে? এই পুজো কমিটির সভাপতি ঋত্বিক দাস জানিয়েছেন, 'বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের আবহ। সাম্প্রতিককালে ভারত সহ একাধিক দেশে যুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এখনও বহু দেশে দেশে যুদ্ধ চলছে। এই হিংসা, অস্থিরতা, যুদ্ধের আবহেই আমরা শান্তির বার্তা ছড়াতে চেয়েছি। আমাদের পুজো মণ্ডপে শুধুই হাসিখুশির আবহ।'
কার কথা ভেবে পুজো মণ্ডপ তৈরি হয়েছে? বিশ্বজুড়ে এই হিংসার আবহে কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভার রত্ন গোপাল ভাঁড়ের কথাই স্মরণ করেছেন পুজো কমিটির সদস্যরা। বহু আগে যে শান্তির বাণী গোপাল ভাঁড় ছড়িয়েছিলেন, তারই পুনর্জাগরণ ঘটছে এবারের পুজোয়। সভাপতি ঋত্বিক দাস বলেন, 'এটি আমাদের কমিটির ৬৩ বছরের পুজো। পুরোটাই সাবেকি ধারায় হয়। শান্তি ও আনন্দের জনক ছিলেন গোপাল ভাঁড়। তিনিই ৩০০ বছর আগে শান্তির বার্তা দিয়েছিলেন। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র যখন যুদ্ধ চেয়েছিলেন, তখন শান্তির বার্তা দিয়েছিলেন গোপাল ভাঁড়। সেই বার্তাকে এবারের থিম করা হয়েছে। গোপাল ভাঁড়কে নিয়ে আনন্দ, হাসির থিম ফুটে উঠেছে আমাদের পুজোয়।'
শনিবার 'আমরা সবাই দুর্গোৎসব কমিটি'র পুজোর উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মাননীয় শিল্পমন্ত্রী ড: শশী পাঁজা। তিনি এই পুজো কমিটির চেয়ারম্যান। উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন শ্রী তারকনাথ চ্যাটার্জি, স্বনামধন্য শিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী এবং ব্লু চিপ প্রজেক্টসের কর্ণধার ঋত্বিক দাস (সভাপতি)। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর বাণিজ্যকেন্দ্রিক বার্তাকে সম্মান জানিয়ে এই উদ্যোগে যুক্ত হয়েছে বিএনসিসিআই ও কলকাতা কাস্টমস হাউস এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন।
কীভাবে পৌঁছনো যাবে এই পুজো মণ্ডপে?
উত্তর কলকাতার হেঁদুয়া থেকে গিরিশ পার্ক থানার দিকে এগিয়ে, থানার ঠিক পাশেই 'আমরা সবাই দুর্গোৎসব কমিটি'র পুজো মণ্ডপ।