• কষা মাংস খাওয়ার আবদার, বেলন দিয়ে মারতে মারতে ৭ বছরের ছেলেকে শেষ করে ফেলল মা ...
    আজকাল | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: কষা মাংস খেতে চেয়েছিলে ভাইবোন। যে আবদার শুনেই চরম পদক্ষেপ করল তাদের মা! দুই ছেলেমেয়েকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। মায়ের পিটুনিতে শেষমেশ মর্মান্তিক হল সাত বছরের এক শিশুর। গুরুতর আহত হয়েছে নাবালিকাও। যে ঘটনায় শিউরে উঠেছেন প্রতিবেশীরা। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পালগড়ে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাংস খেতে চাওয়ায় দুই সন্তানকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তাদের মায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনায় সাত বছর বয়সি এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে তার দিদি।  

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ৪০ বছরের পল্লবী নিরামিষ খাবার রান্না করেছিল রবিবার। সেদিন মুরগির মাংস খেতে চেয়েছিলে ভাইবোন। দুই সন্তানের দাবি শুনে ব্যাপক রেগে যায় পল্লবী। অবশেষে রান্নাঘর থেকে বেলন দিয়ে বেধড়ক মারধর করে ছেলেমেয়েকে। গুরুতর চোট পেয়ে বাড়িতে জ্ঞান হারায় সাত বছরের শিশু। 

    দুই শিশুর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তড়িঘড়ি খবর পাঠান পুলিশে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেই পুলিশ সাত বছরের শিশু ও দশ বছর বয়সি নাবালিকাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। গুরুতর আহত অবস্থায় নাবালিকা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।‌ তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। 

    প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে আরও একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল।‌ তিন বছরের কোলের মেয়েকে ঘুমপাড়ানি গান শুনিয়েছিল মা। মেয়ে ঘুমিয়ে পড়তেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হল। ঘুমন্ত শিশুকে কোলে নিয়ে লেকের ধারে ঘুরতে চলে যান‌। এরপর সেই ঘুমন্ত শিশুকন্যাকে ভাসিয়ে দেন লেকের জলে। লেকে ডুবে শেষ হয়ে গেল তিন বছরের শিশুটি। এরপরই ঘাতক মা বললেন, তাঁর শিশুকন্যা নিখোঁজ! 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের আজমেরে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘাতক তরুণীর স্বামীর সঙ্গে থাকেন না। আজমেরে প্রেমিকের সঙ্গে থাকতেন‌। তাঁর সঙ্গেই থাকতে তিনি বছরের মেয়ে‌। কিন্তু প্রেমিক তাঁর মেয়েকে পছন্দ করতেন না। বারবার সন্তানকে নিয়ে খোঁটা দিতেন। এই পরিস্থিতিতে রাগের মাথায় মেয়েকে খুনের পরিকল্পনা করেন তরুণী। 

    পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে ওই লেকের ধারে যুগলকে দেখা গেছে। জিজ্ঞাসাবাদ করতেই অঞ্জলি নামের তরুণী জানান, তিনি বাড়ি থেকে মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু মাঝপথে মেয়েকে আর খুঁজে পাচ্ছেন না। বহু খোঁজাখুঁজির পরেও মেয়ের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। 

    এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানিয়েছে, ওই রাতেই তরুণীর কোলে তাঁর মেয়েকে দেখা গিয়েছিল। মেয়েকে নিয়ে তিনি লেকের ধারেও যান। এরপর রাত দেড়টা নাগাদ মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে তরুণীকে। তখনই সন্দেহ হয় পুলিশের। বুধবার সকালে লেকের ধারে শিশুকন্যার নিথর দেহ দেখতে পায় পুলিশ। দীর্ঘ জেরার পর তরুণী কান্নায় ভেঙে পড়ে জানান, তিনিই ওই লেকে সন্তানকে ভাসিয়ে দেন। 

    পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমানে অঞ্জলি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঘটনার দিন রাত দুটো নাগাদ আকাশ নামের তাঁর প্রেমিককে সন্তানের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি জানিয়েছিলেন। এই ঘটনায় আকাশ জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 
  • Link to this news (আজকাল)