কালের স্রোতে বদলেছে শৈলশহর দার্জিলিং। বদলেছে সেখানকার মাতৃ আরাধনার রীতিনীতিও। এক সময়ে সমতলের পুরোহিতরাই ছিলেন এক মাত্র পুজোর ভরসা। তার পরেই প্রয়াত জিএনএলএফ সুপ্রিমো সুবাস ঘিসিংয়ের সেই ফতোয়া। প্রতিমা পুজো হবে না। পরিবর্তে পূজিত হবে পাথর।
অবশ্য সেই জমানার অবসান হয়ে আগেই। পাহাড়ের উপরের নিয়ম নীতি এবং রাজনৈতিক সমীকরণের পাশাপাশি পরিবর্তন এসেছে স্থানীয় মানুষের ধ্যান ধারণাতেও। এখন আর পুজোর জন্য হত্যে দিয়ে বসে থাকতে হয় না সমতলের মানুষদের জন্য। বরং নেপালি পুরোহিতরাই সব কিছু সামলে নেন নিজেদের মতো করে।
এই বছরও এর অন্যথা হল না। দেবীর আরাধনা তো আছেই। সঙ্গে জুড়ে পাহাড়ের নিজস্ব ‘ফুলপাতি’ উৎসব। বিনোদনেও খামতি নেই। জানা গিয়েছে, এই বছর দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় পুজোর আয়োজন হয়েছে। সরকারি অনুদানের সাহায্য নিয়ে পুজোর এই আয়োজনের সংখ্যা আগের চেয়েও বেশি।