• বারুইপুর মেঘবালিকা আবাসনের পুজোয় ফিরল 'বারো ঘর, এক উঠোন'!
    আনন্দবাজার | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 'বারো ঘর, এক উঠোন'। এটিই বারুইপুর মেঘবালিকা আবাসনের এ বারের পুজোর থিম। কিন্তু, কেন এমন থিম ভাবনা? উত্তর দিলেন সংশ্লিষ্ট ইডেন মেঘবালিকা উৎসব কমিটির সাধারণ সম্পাদক অয়ন কুমার ঘোষ।

    অয়ন জানান, তাঁদের এই আবাসনে সব মিলিয়ে ফ্ল্যাটের সংখ্যা ৩৭০! এই ৩৭০টি পরিবারের সদস্যরা এক আবাসনে থাকলেও সব সময় সকলের পক্ষে বাকিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা সম্ভব হয় না। রোজের কর্মব্যস্ততা সেখানে অন্তরায় সৃষ্টি করে। কিন্তু, দুর্গাপুজোর সময় ছবিটা একেবারে বদলে যায়। তখন আবাসনের সকলেই এসে মিলিত হন পুজো মণ্ডপে। ঠিক যেমন একটি উঠোনকে ঘিরে থাকা বারোটি ঘরের বারোটি ভিন্ন পরিবারের সদস্যরা মিলিত হন সেই একটি উঠোনে!

    এ বারের এই থিমের সঙ্গে সাজুয্য রেখেই তৈরি করা হয়েছে পুজোমণ্ডপ। তাতে রয়েছে বনেদি বাড়ির অন্দরের আভাস। মেঝে থেকে শুরু করে দেওয়াল, দরজা, জানালা, লোহার সাবেক থাম, খিলান - সবকিছুর মধ্যেই যেন পুরোনো ঐতিহ্যের গন্ধ মাখা আবেশ! পুজোর বয়স মাত্র ৩ বছর হলেও আবাসনের বাসিন্দাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ইতিমধ্যেই তা সকলের নজর কাড়তে শুরু করেছে।

    পুজোর পাঁচ দিন - অর্থাৎ - ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত আবাসনের কারও ফ্ল্যাটেই রান্না হয় না। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেকটি পরিবারের প্রত্যেকের জন্যই থাকে ভোগ প্রসাদের ব্যবস্থা। অষ্টমীতে বিশেষ খিচুড়ি ভোগ এবং লুচি-সুজির আয়োজন করা হয়। পুজোর সমস্ত কাজ সকলে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন। মহিলারা মূলত পুজোর মূল বিষয়গুলির দিকে নজর রাখেন। আর পুরুষদের দায়িত্বে থাকে পুজোর আয়োজন বাদে অন্যান্য সমস্ত কিছু।

    এবারের পুজোমণ্ডপ নির্মাণ করতে বাঁশ, লোহা, কাঠ, শোলা, কাপড় প্রভৃতি ব্যবহার করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে কাজে লাগানো হয়েছে অগ্নিনিরোধক স্প্রে। মণ্ডপের প্রতিমা নির্মাণ করেছেন শিল্পী বুদ্ধদেব মণ্ডল। উদ্যোক্তাদের আশা, গত দু'বছরের মতোই তাঁদের এ বারের আয়োজনও সকলের সমবেত প্রয়াসে সর্বাঙ্গীন সফল হয়ে উঠবে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)