• ৮৯ কিমি রেলপথে জুড়বে ভারত ও ভুটান, বাংলার উপর দিয়ে প্রতিবেশী ওই দেশে যাবে প্রথম ট্রেন
    আনন্দবাজার | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • বাংলার উপর দিয়ে চলবে ভারত ও ভুটানের মধ্যে প্রথম ট্রেন। প্রতিবেশী ওই দেশের সঙ্গে দু ’টি নতুন রেল প্রকল্পের ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার মধ্যে একটি রেল প্রকল্প রয়েছে বাংলায়। সোমবার ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, ভারত এবং ভুটানের মধ্যে মোট ৮৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইন প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। একটি রেলপথ যাবে পশ্চিমবঙ্গের বানারহাট থেকে ভুটানের সামৎসে পর্যন্ত। অন্যটি হবে অসমের কোকরাঝাড় থেকে ভুটানের গেলেফুর পর্যন্ত। রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, ওই দু’টি রেল প্রকল্পের জন্য খরচ হবে প্রায় ৪০৩৩ কোটি টাকা। পশ্চিমবঙ্গ এবং ভুটানের রেলপথটি আগামী তিন বছরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র মনে করছে, ওই প্রকল্প দু’টি শেষ হলে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যোগাযোগের নতুন অধ্যায় শুরু হবে। এটিই হবে ভারত–ভুটান রেল সংযোগের প্রথম ধাপ।

    গত বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভুটান সফরে গিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি এই রেল প্রকল্পের বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। সোমবার ওই চুক্তিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে সিলমোহর দেন ভুটানের বিদেশসচিব। এখন তিনি ভারতে সফরে রয়েছেন। ভুটানের সঙ্গে রেল সংযোগ হলে বাণিজ্যক্ষেত্রে দুই দেশের উন্নতি হবে বলে মনে করছে মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “ভারত ভুটানের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। ভুটানের প্রায় সব রফতানি–আমদানি ভারতীয় বন্দর দিয়ে করা হয়। তাই ভুটানের অর্থনীতি দ্রুত অগ্রগতির জন্য এই রেল সংযোগ অত্যন্ত জরুরি।” তিনি জানান, এই ৮৯ কিলোমিটার রেলপথ ভুটানকে ভারতের ১,৫০,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করবে।

    অনেকে মনে করছেন, এই দু’টি প্রকল্পের ফলে ভুটানের ব্যবসা-বাণিজ্য অনেক সহজ হবে। প্রতিবেশী ওই দেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে। এমনকি উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্যও নতুন ব্যবসার সুযোগ তৈরি হবে। কেন্দ্র জানিয়েছে, বানারহাট থেকে সামৎসে রেলপথে থাকবে দু’টি স্টেশন। ওই পথে একটি বড় উড়ালপুল তৈরি করা হবে। এ ছাড়া থাকবে ২৪টি ছোট উড়ালপুল, ৩৭টি ভূগর্ভস্থ পথ। এই প্রকল্পের জন্য মোট খরচ হবে প্রায় ৫৭৭ কোটি টাকা। অন্য দিকে, ছ’টি স্টেশন থাকবে কোকরাঝাড় এবং গেলেফুর মধ্যে। ওই রেলপথে তৈরি করা হবে দু’টি উঁচু সেতু, ২৯টি বড় সেতু, ৬৫টি ছোট সেতু এবং একটি উড়ালপুল। এ ছাড়া ওই পথে থাকবে দু’টি গুদামঘর। চার বছরের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)