পুজো কমিটির সদস্য প্রণব সিংহ রায় বলেন, “গ্রামের অধিকাংশ মানুষ মৎস্যজীবী বা দিনমজুর। ভাঙনে সবাই ভিটেমাটি হারিয়েছেন। সরকারি অনুদানের অর্থ পুজোর এক মাত্র ভরসা। কোনও চাঁদা সংগ্রহকরা হয়নি।”
প্রায় ১৪ বছর আগে স্থানীয় বাসিন্দারা গড়েছিলেন ‘রাধাকৃষ্ণপুর সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি’। পরে, সেখানে তৈরি হয়েছে স্থায়ী মন্দির, যেখানে নিয়মমাফিক পুজো হয়। প্রতি বছর আশেপাশের তারানগর, রামনগর-সহ এক ডজনেরও বেশি গ্রামের মানুষ এই উৎসবেশামিল হন। গত বছরও পুজোর মুখে হঠাৎ ভাঙন শুরু হয়েছিল। ভাঙন বন্ধ হলে, বিঘ্ন ছাড়া পুজো আনন্দের সঙ্গেই পার করেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু এ বারের পরিস্থিতি আরওখারাপ। শনিবার পর্যন্ত রাধাকৃষ্ণপুর দুর্গা মন্দির থেকে মাত্র ২২০ মিটার দূরে পদ্মার গ্রাসে পড়েছেজনপদ। কিন্তু পুজোর প্রস্তুতিতে কোনও ত্রুটি রাখেননি আয়োজকেরা। প্রতিমা গড়া শেষ। মন্দির কমিটির সম্পাদক শ্যামল ঘোষ বলেন, “আমার বাড়িও পদ্মার গর্ভে। কিন্তু পুজো বন্ধ হচ্ছে না।”