দিঘার জগন্নাথধামের আদলে তৈরি মণ্ডপ ঘুরে প্রশংসা! বিতর্কে সৌমিত্র খাঁ
প্রতিদিন | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: উদ্বোধনের দিন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে গিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সপ্তমীর রাতে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের আদলে তৈরি হওয়া দুর্গাপুরের শংকরপুর সর্বজনীন দুর্গাপুজোর মণ্ডপে যান তিনি। সপরিবারে মণ্ডপ ও প্রতিমা দেখেন। প্রশংসাও করেন। প্রকাশ্যে জানালেন, “আমি এখানে শুধুই প্রতিমা ও মণ্ডপ দর্শনে এসেছি, এর সঙ্গে রাজনীতির কী সম্পর্ক?” কিন্তু তাঁর এই মন্তব্যে বিতর্ক আরও ঘনীভূত হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
বলে রাখা ভালো, এই শংকরপুর সর্বজনীন দুর্গাপুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মণ্ডপের প্রশংসাও করেছিলেন তিনি। উদ্যোক্তাদের নেতৃত্বেও রয়েছেন তৃণমূলের নেতারা। সেই পুজোর মণ্ডপে বিজেপি সাংসদের উপস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল বনাম বিজেপির রাজনৈতিক সমীকরণে নতুন প্রশ্ন তুলেছে। শংকরপুর দুর্গাপুজো কমিটির সভাপতি ও দুর্গাপুর ফরিদপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি স্বাধীন ঘোষ বলেন, “পুজো নিয়ে আমরা রাজনীতি করি না। পুজো সবার। মা দুর্গা সবার। পুজোমণ্ডপে যে-ই আসুক না কেন সকলকেই স্বাগতম। তবে আমি বিজেপি সাংসদকে অনুরোধ করব, দিঘায় গিয়ে জগন্নাথ মন্দিরে সপরিবারে দেখে আসুন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার শিল্প ও ধর্মের সংমিশ্রণ করেছেন সেখানে। ওই মন্দির দেখে আসুন।”
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে জোট বেঁধে লড়েছিল কংগ্রেস ও তৃণমূল। বাঁকুড়ার কোতুলপুর বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন সৌমিত্র খাঁ। পরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে, ২০১৪ সালে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। এরপর বিজেপি যোগ দেওয়ার পরই সৌমিত্র খাঁ-কে দল থেকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। বর্তমানে তিনি বিজেপি সাংসদ। তারপরেও দিঘার জগন্নাথধামের আদলে তৈরি মণ্ডপে তাঁর যাওয়া নিয়ে স্বাভাবিকভাবে চলছে জোর রাজনৈতিক তরজা।