সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের দিনগুলিতে সবাই মেতে থাকে আনন্দে। হইহই করে ঠাকুর দেখা, পেট পুরে খাওয়াদাওয়া আর জমিয়ে আড্ডা। ছোটবেলার বন্ধুদের সঙ্গে গল্পের তোড়ে ভেসে গিয়ে নস্ট্যালজিক হয়ে পড়া। সেই শৈশবের ফেলে আসা দিনের অন্যতম অংশ ছিল সার্কাস। দুর্গাপুজোর থিমে হারানো সময়কেই ফিরিয়ে আনছে নীলপুকুরের সার্ভে পার্ক দুর্গোৎসব কমিটি।
আসলে জীবনটাই তো ট্র্যাপিজের খেলা। চরম অনিশ্চয়তা। তবে তার মধ্যেও বেঁচে থাকার আনন্দ খুঁজে নেওয়াই জীবন। সেই বার্তা তুলে ধরতে চায় সন্তোষপুরের পুজো কমিটি। এবার তাদের পুজো ৪৮ তম বর্ষে পদার্পণ করল।
পুজোর প্রচারে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, ‘সময়ের হাত ধরে পাওয়া হৃদয়ের মুহূর্তগুলি কখনও প্রফুল্ল বা বেদনাসিক্ত। উত্থানের গরিমা আর পতনের দুর্বিষহ অবস্থা, এভাবেই নানা শব্দের অনুরণনকে পাথেয় করে এবছর আমাদের ভাবনা সার্কাস।’
কী থাকছে নীলপুকুরের এই পুজোয়? শুরুতেই বড় বড় করে আমন্ত্রণবার্তা, ‘ওয়েলকাম টু সার্কাস’। ভিতরে সার্কাসের বিভিন্ন মুহূর্ত তুলে ধরা। রয়েছে অনেক সার্কাসের নামও। যার মাধ্যমে দর্শকরা পৌঁছে যাবেন সেই নয়ের দশকে। যখন উন্মাদনার অন্য নাম ছিল ‘সার্কাস’।
তারা জানিয়েছে, ‘আমরা খুঁজে পেতে চলেছি আমাদের সেই হারিয়ে যাওয়া শৈশবটাকে, যার আমেজে আমরা অঙ্গীভূত থাকতাম এই নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত। সেই রঙিন স্বপ্নের ফেরিওয়ালা আর ফেয়ারি টেলসের সুন্দরীরা। সঙ্গে ট্র্যাপিজের খেলা, জোকারের ছন্দপতন বা রিং মাস্টারের কসরত, সব হাসি মুখের পিছনে আছে চাপা কষ্ট। আমাদের জীবন তো সেরকমই। জীবন বর্ণময় এক সার্কাস।’
পুজোর সমগ্র ভাবনা ও পরিকল্পনায় শ্রী কৃষ্ণগোপাল মল্লিক। আবহ নির্মাণ করেছেন ডঃ সুজয় বিশ্বাস। দেবী দুর্গার মূল কাঠামো নির্মাণ করেছেন মাধব হালদার।