• ভারতের ধনীতম আমলার বেতন মাত্র এক টাকা! কী করে এত সম্পত্তি, মোদির সামনে চশমা পরে বিতর্কেও জড়িয়েছেন ...
    আজকাল | ০১ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতের লক্ষ লক্ষ মানুষ আইএএস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখে। আইএএসকে দেশের সবচেয়ে সম্মানীয় এবং হাইপ্রোফাইল চাকরিগুলির মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সিভিল সার্ভিসের প্রতি তরুণদের উৎসাহ ক্রমশ বাড়ছে। নেতৃত্ব, দায়িত্ব এবং ক্ষমতার দিকগুলিকে একত্রিত করে উদ্দেশ্যমূলক চাকরি খুঁজছে যে শিক্ষিত সমাজ। যাতে মানুষের জীবনে বাস্তব, দীর্ঘস্থায়ী এবং টেকসই পরিবর্তন আনা যায়। 

    আইএএস অমিত কাটারিয়া হরিয়ানার গুরুগ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি কেবল একজন সরকারি কর্মী হিসেবে তাএর দায়িত্বের জন্যই খবরের শিরোনামে নন। অমিত ভারতের অন্যতম ধনী আমলা। তিনি একটি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান, যাদের দিল্লি এবং এর প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে প্রচুর জমি রয়েছে। তাঁদের ব্যবসা অত্যন্ত লাভজনক বলে জানা গিয়েছে।

    অর্থনৈতিকভাবে সুবিধাবঞ্চিত পরিবারে বেড়ে ওঠার কারণে, অমিতের বিশেষ খ্যাতি ছিল। তিনি তাঁর কর্মজীবনের শুরুতে জনসেবার প্রতি অঙ্গীকার প্রকাশ করেছিলেন। যখন তিনি সিভিল সার্ভিসে যোগদানের পর মাত্র ১ টাকা বেতন নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি কেবল ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য নয় বরং জনসাধারণের কল্যাণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে এই অঙ্গীকার করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, ব্যক্তিগত লাভের জন্য নয়, জাতির সেবা করার জন্য সিভিল সার্ভিসে যোগদান করতে অনুপ্রাণিত ছিলেন; তাই, বেতন না নেওয়া যুক্তি দিয়েছিলেন।

    ২০১৫ সালে ছত্তিশগড়ের বস্তারের কালেক্টর হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন, অমিত প্রধানমন্ত্রী মোদির ছত্তিশগড় সফরের সময় তাঁকে সানগ্লাস পরে স্বাগত জানানোর পর থেকেই কুখ্যাতি পেতে শুরু করেন। এই ঘটনাটি সরকারি প্রোটোকলের লঙ্ঘন করেছিল বলে অভিযোগ। এর ফলে তাঁকে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কারণ দর্শাতের হয়। সেই সময় ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন রমন সিং।

    অমিত বর্তমানে ছত্তিশগড়ে কর্মরত। অমিতের শিক্ষাগত যোগ্যতা অসাধারণ। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অমিত দিল্লি পাবলিক স্কুল - আরকে পুরমে পড়াশোনা করেছেন এবং সেখানকার একজন অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এরপর তিনি দিল্লির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

    ২০০৩ সালে, অমিত UPSC পরীক্ষায় সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। সর্বভারতীয় র‍্যাঙ্ক (AIR) ১৮ অর্জন করেন এবং ছত্তিশগড় ক্যাডারে নিয়োগ পান। অমিত অস্মিতা হান্ডার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবন্ধ হন। তিনি একজন বাণিজ্যিক পাইলট এবং ভাল আয় করেন। এই দম্পতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয়, তাদের ভ্রমণের পোস্ট এবং জীবনের আপডেট শেয়ার করেন। অমিতের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮.৯০ কোটি টাকা, এবং এর মধ্যে কেবল সিভিল সার্ভিসে তাঁর সাফল্যই নয়, তার পরিবারের বিশিষ্ট ব্যবসায়িক পটভূমি এবং আর্থিক সম্পদও অন্তর্ভুক্ত।
  • Link to this news (আজকাল)