অষ্টমীর দুপুরে দমদমে এক বিরল দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করলেন পথচলতি সাধারণ মানুষ। অষ্টমীর দুপুরে দমদমের এক পুজো মণ্ডপের বাইরে জমে উঠল ভিড়। সেখানে হাজির হলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সঙ্গে তাঁর ছোট্ট মেয়ে। মণ্ডপে প্রতিমা দর্শনের পর তিনি বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের ভিড়ে মিশে গেলেন। বিশেষত কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিকের সঙ্গে সরাসরি আলাপ করতে শুরু করলেন।
শ্রমিকরা তাঁদের যন্ত্রণা, ভিনরাজ্যে কাজের কষ্ট ও সংসারের টানাপোড়েন তুলে ধরলেন সাংসদের সামনে। মন দিয়ে তাঁদের কথা শোনার পর অভিষেক বললেন, ‘আমার ফোন নম্বর তোমাদের কাছে আছে। দরকার হলে সরাসরি ফোন করো। ভিনরাজ্যে ফেরার দরকার নেই। আমার ওপর ভরসা রাখো। এখানে তোমাদের খাবার-খাওয়া ও সংসার চালানো সহজ হবে। সরকার তোমাদের পাশে আছে।’
শ্রমিকদের বাড়ির পরিস্থিতি, সন্তানদের পড়াশোনা এবং সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সম্পর্কে খোঁজ নিলেন তিনি। আশ্বাস দিলেন যে বাকি সুবিধাগুলোও দ্রুত পৌঁছে যাবে। কথার ফাঁকে একজন শ্রমিক হাসি দিয়ে বললেন, “দাদা, ফুচকা খাবেন?” অভিষেক হাসিমুখে রাজি হয়ে গেলেন। মেয়ে ও দলের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে মিলে তিনি সরাসরি ফুচকার লাইনে দাঁড়িয়ে গেলেন।
এই বিরল দৃশ্যটি শুধু রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নয়, একটি মানবিক মুহূর্তের প্রতিফলন হয়ে উঠল। সাধারণ মানুষের সঙ্গে সহজ সরল আলাপ ও ফুচকা ভাগাভাগি করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত দিলেন যে, রাজনীতি শুধুমাত্র ভাষণ বা সভার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।
ফুচকা বিক্রেতাও খুশি হয়ে বললেন, ‘ওনাকে টিভিতে দেখি, আজ সামনে থেকে দেখলাম— নিজেকেই এখন সেলিব্রিটি মনে হচ্ছে।’ এই হালকা মুহূর্তের মধ্যে শ্রমিকরা অভিষেকের কাছে তাদের কষ্ট তুলে ধরলেন। আর তিনি তা মনোযোগ দিয়ে শুনলেন।
অষ্টমীর দুপুরে দমদমের রাস্তায় এই দৃশ্য— রাজনীতির ব্যস্ততার বাইরে, সাধারণ মানুষের মধ্যে মিলেমিশে এক রাজনৈতিক নেতার মানবিক উপস্থিতি ধরা পড়ল।