সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অষ্টমীর সন্ধ্যায় কলকাতার রাজপথে কার্যত জনজোয়ার। কলকাতার অন্যতম পুজোগুলির একটি ত্রিধারা সম্মিলনীতে উপচে পড়া ভিড়। তাই নিরাপত্তার কথা ভেবে ‘অঘোরী নৃত্যে’র লাইভ শো বন্ধের নির্দেশ দিল কলকাতা পুলিশ। এর আগে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। তা নিয়ে দানা বেঁধেছিল বিতর্ক।
দুর্গাপুজো মানে বাঙালির কাছে একটা অন্যরকম আবেগ। প্যান্ডেল হপিং থেকে খাওয়াদাওয়া, চারদিনের প্ল্যান আগেই সেরে ফেলেন সকলে। এবারও তার অন্যথা হয়নি। মহালয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে প্যান্ডেল হপিং। অষ্টমীর বিকেলে তিলোত্তমার রাস্তায় যতদূর চোখ যায় শুধুই কালো মাথা। বিশেষ আকর্ষণের কারণে কয়েকটি মণ্ডপে ভিড় সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশ। এবার কলকাতায় বিধায়ক দেবাশিষ কুমারের পুজো অর্থাৎ ত্রিধারা সম্মিলনীতে আয়োজন করা হয়েছিল বিশেষ লাইভ অনুষ্ঠান, অঘোরী নৃত্য। মহাদেবের একটা রূপ শান্ত এবং অপরটা রুদ্র রূপ। মহাদেবের সেই রুদ্ররূপ উপস্থাপনা করা হচ্ছিল নৃত্যের মাধ্যমে। যা দেখতে উপচে পড়ছিল ভিড়।
পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাতে না যায়, তা নিশ্চিত করতেই এই লাইভ শো বন্ধ করল কলকাতা পুলিশ। প্রসঙ্গত, দিন কয়েকআগে সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো নিয়ে আপত্তি জানায় কলকাতা পুলিশ। পুজো কমিটিকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে সজল ঘোষ বলেছিলেন প্রয়োজন শুধু শো বন্ধই নয়, রীতি জেনে ও তা পালন করে আগেভাগেই বিসর্জনেও রাজি তাঁরা। কারণ, নিরাপত্তা সবকিছুর আগে। পঞ্চমীর দিন মহম্মদ আলি পার্কের দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। মণ্ডপের আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়।