দুর্গাপুজোয় ভিড় সামলাতে পুলিশের অভিনব উদ্যোগ, লাঠির বদলে হাতে ‘বেলুন লাঠি’
হিন্দুস্তান টাইমস | ০১ অক্টোবর ২০২৫
দেবীর বোধনের আগেই কলকাতার রাস্তায় উপচে পড়েছে জনজোয়ার। মহালয়ার ঘণ্টা পেরোতেই শহরের প্রায় প্রতিটি মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ঢল নামছে। সন্ধ্যা নামলেই কার্যত জনসমুদ্র রাস্তায়। সপ্তমীর সকাল থেকে সেই ভিড় আরও বহুগুণ বেড়ে যায়। জেলা থেকে, এমনকি রাজ্যের বাইরেও হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমিয়েছেন কলকাতার নামী পুজো মণ্ডপে। স্বাভাবিকভাবেই জনসমাগম সামাল দিতে রীতিমতো নাজেহাল হতে হচ্ছে পুলিশকে। আর এই চাপে কিছুটা স্বস্তি পেতে এক অভিনব কৌশল হাতে নিয়েছে তারা।
এবার ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশের হাতে দেখা যাচ্ছে নতুন ধরনের লাঠি। সাধারণ কাঠের লাঠির বদলে ব্যবহার করা হচ্ছে বিশেষ নরম লাঠি, যা দেখতে অনেকটা বড়সড় বেলুনের মতো। পুলিশের দাবি, এই লাঠি দিয়ে ভিড় সামলানোর সময় কাউকে আঘাত পাওয়ার আশঙ্কা নেই। বরং এর ফলে ভিড় ঠেলে সঠিকভাবে মণ্ডপে প্রবেশ ও বেরোনোর পথ খোলা রাখা সম্ভব হচ্ছে। পুলিশকর্মীরাও বলছেন, এই নতুন ব্যবস্থার ফলে দর্শকরা যেমন নিরাপদ বোধ করছেন, তেমনই পুলিশও কম চাপে কাজ করতে পারছে। শহরের বিভিন্ন মণ্ডপে সপ্তমীর দিন সকাল থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় লাফিয়ে বেড়েছে। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার পুজোতেও একই ছবি। এ বছর সেখানে থিম ‘অপারেশন সিঁদুর’, যা দর্শকদের মধ্যে বাড়তি কৌতূহল তৈরি করেছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই পুজোর উদ্বোধন করার পর থেকেই এখানে মানুষের ভিড় আরও বাড়তে শুরু করে। ফলে পুলিশ-প্রশাসন ও উদ্যোক্তাদের সমন্বয়েই দর্শকদের প্রবাহ সামলাতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের এই পুজো নিয়েই রাজনৈতিক বিতর্কও তৈরি হয়েছিল। বিজেপি নেতা তথা উদ্যোক্তা সজল ঘোষ অভিযোগ করেছিলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে নাকি পুজো বন্ধ করার চক্রান্ত হচ্ছিল। তবে বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, পুলিশের এই নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থাই ভিড় নিয়ন্ত্রণে কার্যকর প্রমাণিত হচ্ছে। মণ্ডপে ঢোকা ও বেরোনোর সময় দর্শকরা ঝুঁকিমুক্ত ও স্বস্তিকর অভিজ্ঞতা পাচ্ছেন। অর্থাৎ এবারের দুর্গোৎসবে শহর জুড়ে জনজোয়ার সামলাতে পুলিশের হাতে এক অভিনব হাতিয়ার উঠে এসেছে নরম ‘বেলুন লাঠি’।