আজকাল ওয়েবডেস্ক: একদিকে পুজোর উচ্ছ্বাস। তার মাঝেই চলল গুলি, মৃত্যু। ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক এলাকায়। সূত্রের খবর, অষ্টমীর রাতে শ্যুট আউটের ঘটনা ঘটে হাওড়ায়। হাওড়া থানার অন্তর্গত বন বিহারি বোস রোডে ওই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, ওই যুবক পাটনা থেকে হাওড়ার আত্মীয়র বাড়িতে ঘুরে এসেছিলেন। নাম,শঙ্কর যাদব। চায়ের দোকানে বসেছিলেন তিনি। জানা যায়, আচমকা বাইকে করে কয়েকজন এসে একটি পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে, পরপর তিনটি গুলি চালায় ওই যুবকের মাথায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক হাওড়ায় তাঁর আত্মীয়র বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন। ঘটনার দিনে অর্থাৎ অষ্টমীতে তিনি বাইরে একটি চায়ের দোকানে ছিলেন। তখনই আচমকা বাইকে করে ৩ জন দুষ্কৃতী আসে। । ওই যুবককে লক্ষ্য করে, পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে পরপর ৩ রাউন্ড গুলি চালায় তারা। গুলি আঘাতে গুরুতর জখম জখম হন যুবক।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। ঘটনাস্থল থেকে তৎক্ষণাৎ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। কেন তাকে খুন করা হল? তা পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত।
ওই যুবক প্রসঙ্গে যা তথ্য সামনে এসেছে, তা হল, তিনি বিহারের বাসিন্দা, এই রাজ্যে এসেছিলেন আত্মীয়ের বাড়িতে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই যুবকের নিজের রাজ্যেই অর্থাৎ বিহারেই কারও সঙ্গে শত্রুতা ছিল। সেই শত্রুতার জেরেই দুষ্কৃতীরা হাওড়ায় এসে তাঁকে খুন করে। মনে করা হচ্ছে, যুবকের বিহার থেকে বঙ্গে আসার কথা জানা ছিল তাদের। আর তার পরেই পরিকল্পনা করা হয় খুনের। ঘটনাটিকে একটি পরিকল্পনামাফিক খুন বলে পুলিশ মনে করছে। গুলি চালনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে হাওড়া সিটি পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে অষ্টমীর রাতেই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে খাস কলকাতায়। পুজোর উচ্ছ্বাসের মাঝেই, জানা যায়, বেহালা নূতন দলের পুজো মণ্ডপে এসে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, গভীর রাতে প্রতিমা দর্শনের পরে বেরিয়েই অসুস্থ হন মহিলা। এক্সিট গেটের সামনে অসুস্থ হয়ে পড়েন হরিদেবপুরের সঙ্গীতা রানা।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই অসুস্থ মহিলাকে সিপিআর দেন কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা। অবস্থার অবনতি হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। সেখানেই সঙ্গীতা রানা নামে ওই মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
একইসঙ্গে ঘটনাপ্রসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে, হাঁপানির ক্রনিক পেশেন্ট ছিলেন সঙ্গীতা। ঘটনার পরেই, গ্রিন করিডর করেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ওই মহিলাকে। সিপিআর সাপোর্টও দেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে পরিবারের তরফে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। মৃতার এক আত্মীয় বলেন, ‘বারবার অক্সিজেন সাপোর্ট চাইলেও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। মণ্ডপের ভিতরে এক দর্শনার্থীর সঙ্গে বচসার পরেই অসুস্থ হন তিনি। যে অ্যাম্বুল্যান্স আনা হয়েছিল, তাতে অক্সিজেনের ব্যবস্থা ছিল না। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।