• প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, নবমীর সকালে বাড়িতেই শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি ...
    আজকাল | ০১ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী বনমালি রায়। মন্ত্রী ছাড়াও তিনি সভাধিপতি হিসেবে দায়িত্ব সামাল দিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলার সভাধিপতি হিসেবে। বুধবার নবমীর সকালে ধূপগুড়িতে নিজের বাড়িতেই শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। বর্ষীয়ান এই বাম নেতার মৃত্যুতে জলপাইগুড়ি জেলার রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

    সিপিএমের প্রার্থী হিসেবে ধূপগুড়ি থেকে পাঁচবার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন বনমালি রায়। বনদপ্তর ছাড়াও মন্ত্রী হিসেবে তিনি তপসিলি ও আদিবাসী কল্যাণ দপ্তরের দায়িত্বও সামাল দিয়েছেন। ১৯৮২ সালে তপসিলি ও আদিবাসী দপ্তর এবং ১৯৯২ সালে তিনি বন দপ্তরের মন্ত্রী হয়েছিলেন। মন্ত্রী ছাড়াও জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়ে তিনি সামাল দিয়েছেন সভাধিপতির দায়িত্ব। এর পাশাপাশি দলীয় দায়িত্বও সামাল দিয়েছেন। সিপিএমের জোনাল সম্পাদক-সহ একাধিক দলীয় দায়িত্ব পালন করেছেন। 

    গত কয়েক বছর ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন রাজ্যের এই প্রাক্তন বনমন্ত্রী। স্থানীয় সিপিএমের একটি সূত্র জানায়, গত কয়েকদিন ধরেই মাঝেমাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। শেষপর্যন্ত বুধবার সকালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এদিন প্রাক্তন মন্ত্রী ও দলের নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হন স্থানীয় বাম নেতা ও কর্মীবৃন্দ। শেষ যাত্রায় উপস্থিত হয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য সলিল আচার্য, জলপাইগুড়ি জেলার সম্পাদক পীযুষ মিশ্র, প্রাক্তন বিধায়ক মমতা রায়, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জিয়ায়ুল আলম প্রমুখ। দলের পাশাপাশি ধূপগুড়ি শহরের নবজীবন সংঘ এবং এসটিএস ক্লাবের তরফেও মন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। শেষ যাত্রায় সামিল হয়েছিলেন এলাকার সাধারণ মানুষও।
  • Link to this news (আজকাল)