ইতিমধ্যেই মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর আশঙ্কার বার্তা আগেই শুনিয়েছিল। ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির দেখা মেলেনি। যদিও অষ্টমীতে বিকেলের দিকে কলকাতা-সহ আশেপাশের জেলাগুলিতে মাঝারি বৃষ্টি দেখা যায়। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আজ, বুধবার নবমীতে নিম্নচাপের শক্তি আরও বাড়বে। অসুররূপে বৃষ্টি হানা দিতে পারে। হলও তাই।
নবমীর সকাল থেকেই কলকাতা-সহ জেলাগুলিতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছিলেন সাধারণ মানুষজন। কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণের পুজো মণ্ডপগুলিতে দর্শনার্থীদের ভিড়ও বাড়তে থাকে। বেলা বাড়তেই আকাশ ক্রমশ কালো হয়ে যায়। বিকেলের আগেই শুরু হয়ে যায় ঝড়বৃষ্টি। কলকাতা-সহ আশেপাশের এলাকাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়া-সহ বেপরোয়া বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টিতে বাগ মানেনি ছাতাও। বহু জায়গায় মণ্ডপের ভিতরেই আশ্রয় নিতে হয় দর্শনার্থীদের। ঠাকুর দেখার লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকেকেই ভিজতে হয়েছে বলে খবর।
বিধাননগরের নিউটাউন আকন্দ কেশরী সার্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপের তোরণ এদিন বৃষ্টিতে ভেঙে যায়। রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি চারচাকা গাড়ির উপর বাঁশের তৈরি হোই বিশাল তোড়ন হাওয়ার দাপটে ভেঙে পড়ে। গাড়িতে কেউ না থাকার জন্য বড় কোনও অঘটন হয়নি। এই ঘটনায় শাপুরজি আবাসনের দিক থেকে আসা-যাওয়ার রাস্তা কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি চলছে বলে খবর।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আগামী কাল, বৃহস্পতিবার কলকাতায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। এই চার জেলায় হাওয়া অফিসের তরফে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা থাকছে উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং নদিয়ায়।