ফের বিজেপির পুজোয় রাজন্যা-প্রান্তিক! ভোটের আগেই কি দলবদলের ইঙ্গিত?
হিন্দুস্তান টাইমস | ০২ অক্টোবর ২০২৫
মহাষ্টমীর সন্ধ্যায় ফের রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে উসকে উঠল জল্পনা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাসপেন্ডেড নেত্রী রাজন্যা হালদার ও তাঁর ঘনিষ্ঠ প্রান্তিক হাজির হলেন বিজেপির পুজো বলে পরিচিত সল্টলেক ইজসিসি-র দুর্গা পুজো মণ্ডপে। আর সেখানে তাঁদের সঙ্গে একই ফ্রেমে দেখা গেল বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষকেও। ফলে প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি ২০২৬ বিধানসভা ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন রাজন্যা ও প্রান্তিক? তাই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
এর আগে সপ্তমীর দিন এই দুই তরুণ মুখকে দেখা গিয়েছিল বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের পুজো সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে। সেখান থেকেই শুরু হয়েছিল জল্পনা। কারণ, যে রাজন্যা ও প্রান্তিককে ইতিমধ্যেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সাসপেন্ড করেছে, তাঁদের সজল ঘোষের পুজোয় উপস্থিতি অনেককেই অবাক করেছিল। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, তবে কি ফুল বদলের পথে হাঁটছেন তাঁরা? যদিও, সজল ঘোষ প্রকাশ্যে বলেছিলেন, সব কিছুর মধ্যে রাজনীতি খোঁজা ঠিক নয়। রাজন্যা তাঁর বোনের মতো। তাঁরা টিভিতে বিতর্কে লড়াই করেন ঠিকই, কিন্তু ব্যক্তিগত সম্পর্ক অটুট। রাজন্যা আগেও আসতেন, এবারও এসেছেন। এমনকি তিনি আরও বলেন, রাজন্যাকে তিনি তৃণমূলের বলে দেখেন না। সজলের এই মন্তব্যের সময় পাশে দাঁড়িয়েই রাজন্যা তাঁকে দাদা বলে সম্বোধন করেছিলেন। তিনি বলেন, অপারেশন সিঁদুর তাঁর কাছে আবেগের বিষয়। আগে এসেছেন, এবারও এলেন।
প্রান্তিক বলেন, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। বাংলার ৮০ শতাংশ প্যান্ডেলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাটআউট থাকে। যদি এখানে নরেন্দ্র মোদীর কাটআউট থাকে, তবে দোষ কোথায়? এখানে আসা মানেই যে সবাই বিজেপির, তা তো নয়। তবে রাজন্যা-প্রান্তিক সপ্তমীর পর মহাষ্টমীর দিন আবার বিজেপির ইজিসিসির পুজোয় হাজির হওয়ায় রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এ ঘটনাই আসলে তাঁদের দলবদলের সম্ভাবনাকে আরও জোরদার করছে। অনেকেই মনে করছেন, এরকম উপস্থিতি কেবল কাকতালীয় নয়, বরং ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি শিবিরে তাঁদের যোগদানের ইঙ্গিতও বয়ে আনতে পারে। এই অবস্থায় পর পর বিজেপি নেতাদের পুজোর ভিড়ের মধ্যে রাজন্যা-প্রান্তিকের উপস্থিতি ঘিরে রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে।