আজকাল ওয়েবডেস্ক: গরমকালে নিজেকে এবং নিজের বাড়িকে ঠান্ডা রাখতে আপনি কী করেন? খুব সহজ, এসি, কুলার বা পাখা চালান। কিন্তু রাস্তার পশুদের কথা ভেবে দেখেছেন, যাদের এই অসহ্য গরম সহ্য করতে হয়? দুঃখের বিষয়, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা থেকে বাঁচার জন্য তাদের কাছে বিশেষ কোনও উপায় থাকে না, যার কারণে অনেক সময় তাদের মৃত্যু পর্যন্ত হয়।
সম্প্রতি এমনই এক অদ্ভুত ঘটনায়, গরম থেকে বাঁচতে একটি ষাঁড় আশ্রয় নিল এক এটিএম-এর কামরায়। ফলে বাইরেই আটকে রইলেন গ্রাহকেরা। হ্যাঁ! ঠিকই পড়েছেন।উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়ার ঘটনা এটি। এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্বতন টুইটার) শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ধূসর রঙের একটি ষাঁড় অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের এটিএম-এর ভিতরে বসে এসি-র ঠান্ডা হাওয়া উপভোগ করছে, আর একজন গ্রাহক বাইরে অপেক্ষা করছেন।
পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়াতে ষাঁড়জি অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের এটিএম-এ বসে এসি-র হাওয়া খাচ্ছেন, আর এদিকে গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ।"
মুহূর্তের মধ্যেই পোস্টটির কমেন্ট সেকশন ব্যবহারকারীদের মজাদার প্রতিক্রিয়ায় ভরে ওঠে। এক এক্স ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, "বর্তমান যুগে নন্দী বাবারই (ভগবান শিবের বাহন) যত সুখ।" অন্য একজন একটি কবিতা লিখেছেন, "গায় হামারি মাতা হ্যায়, হামকো কুছ নেহি আতা হ্যায়। ষাঁড় হামারা বাপ হ্যায়, কুছ ভি কেহনা পাপ হ্যায়।"
একজন শেয়ার করেছেন, "রাজত্ব তো উত্তরপ্রদেশেই।" আরেকজন লিখেছেন, "নন্দীজির হয়তো নগদ টাকার প্রয়োজন।" একটি মন্তব্যে লেখা হয়েছে, "ষাঁড়জি এটিএম-এ এসি-র হাওয়া খেতে খেতে বলছেন, আমাদের প্রশাসনের তরফ থেকে পুরোপুরি ছাড় দেওয়া হয়েছে, কেউ কিছু বললে তার রক্ষে নেই।"
অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, "এঁর জন্য ২৫,০০০ টাকার মিনিমাম ব্যালেন্সওয়ালা একটি অ্যাকাউন্ট খুলিয়ে দিন।" একজন শেয়ার করে বলেছেন, "হা হা, কোথায় লেখা আছে যে নন্দী এটিএম-এর ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না!" আরেকজন মন্তব্যে লিখেছেন, "উত্তরপ্রদেশে সবই সম্ভব।" এক ব্যবহারকারী রসিকতা করে বলেছেন, "নন্দীজি টাকা পাহারা দিচ্ছেন।"
একটি মন্তব্যে লেখা হয়েছে, "এ তো আরাম করতে এসছে।" একজন লিখেছেন, "ষাঁড় আমাদের সমাজে খুশির বাতাবরণ।"
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আসামে আরেকটি চমকপ্রদ ঘটনা ঘটে। আসামের একটি এটিএম-এ ঢুকে একটি ইঁদুর লক্ষাধিক টাকার নোট কুচিকুচি করে কেটে ফেলেছিল। সেই খবর জানাজানি হতেও চারিদিকে শোরগোল পড়ে যায়।