• ‘বঞ্চিত’ বিজেপি নেতার পুজোয় ‘আদি’ গেরুয়াদের রিইউনিয়ন, পদ্ম শিবিরে গুরুত্ব বাড়ছে পুরনোদের?
    প্রতিদিন | ০২ অক্টোবর ২০২৫
  • স্টাফ রিপোর্টার: আদি বিজেপি এক জায়গায়। বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির দুর্গাপুজোয় হাজির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু থেকে শুরু করে সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়, দল থেকে সাসপেন্ডেড রীতেশ তেওয়ারি ছাড়াও দলের সোশাল মিডিয়া কনভেনর সপ্তর্ষি চৌধুরি ও যুব মোর্চার একঝাঁক নেতা।

    অষ্টমীর দিন রাজুর বাড়িতে শমীক-সহ পুরনো একঝাঁক বিজেপি নেতার উপস্থিতি নতুন করে উসকে দিয়েছে আদি ও নব্য দ্বন্দ্বের মধ্যে পুরনোদের একত্রিত হওয়ার ছবি। দলে পুরনোদের গুরুত্বের কথা স্মরণ করিয়ে বর্তমান ক্ষমতাসীন শিবিরের দিকে বার্তা দিয়েছিলেন শমীক। আর সুকান্ত মজুমদারের জমানা বদলের পর রাজুর মতো দলে গুরুত্বহীন করে রাখা আদি নেতার বাড়ির পুজোয় শমীক, রাহুল, লকেটদের একত্রিত হওয়ার ছবি বঙ্গ বিজেপিতে একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করা নব্য ও তৎকাল নেতাদের উদ্দেশে বড় বার্তা বলেই মনে করা হচ্ছে।

    আর সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ, রাজুর বাড়ির পুজোয় হাজির ছিলেন বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সংগঠন সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। যিনি বর্তমানে আরএসএসের গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী।
    দিলীপ ঘোষ জমানায় সুব্রত চট্টোপাধ্যায় ছিলেন রাজ্য বিজেপির সংগঠনের প্রধান। দিলীপ ও সুব্রত জুটি ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে বঙ্গ বিজেপিকে বিপুল সাফল্যের মুখ দেখিয়েছিল।

    প্রসঙ্গত, দিলীপ ঘোষের জমানায় রাজু ও সায়ন্তন ছিলেন দিলীপের ডান ও বাম হাত। কিন্তু সুকান্ত জমানায় রাজুকে সহ-সভাপতি পদে রাখলেও গুরুত্বহীন করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। বৈঠক ও কর্মসূচিতে ডাকা হত না। সায়ন্তনের মতো পরিচিত মুখ নেতাকে কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আর সাসপেন্ড করা হয় রীতেশকে। শমীক জমানায় এই তিন নেতার গুরুত্ব যে আবার বাড়তে চলেছে তা স্পষ্ট।

    নয়া রাজ্য কমিটিতে রাজু, সায়ন্তন ও রীতেশরা আবার গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে চলেছেন। রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির দুর্গাপুজো এবার ছয় বছরে পড়ল। গত দু’তিন বছর রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির কোনও নেতার ভিড় ছিল না রাজুর বাড়িতে। কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রমী ছবি ইঙ্গিত দিচ্ছে বঙ্গ বিজেপির জমানা বদলের। আর সব নেতাই রাজুর বাড়িতে দুর্গাপুজোয় তাঁদের জমায়েতের ছবি পোস্টও করেছেন সমাজ মাধ্যমে। রাজুর কথায়, “কে কখন কোথায় যাবেন সব মা ঠিক করে দেন। মায়ের ইচ্ছা হয়েছে বলেই সকলে দলবেঁধে এসেছেন।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)