চলতি মাসের শেষই ফের চালু হচ্ছে ভারত-চীন সরাসরি বিমান পরিষেবা, ২০২০ সালের পর ...
আজকাল | ০৩ অক্টোবর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: চলতি মাসের শেষদিক থেকেই ভারত-চীন উড়ান পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে যে, উভয় দেশের অসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এই বছরের শুরু থেকেই দুই দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা পুনরায় চালুর করা এবং একটি সংশোধিত বিমান পরিষেবা চুক্তি চূড়ান্ত করতে প্রযুক্তিগত পর্যায়ের আলোচনা চালাচ্ছিল। তারই ফলশ্রূতিতে ফের চালু হচ্ছে ভারত-চীন বিমান।
২০২০ সালের গ্রীষ্মে গালওয়ান সংঘর্ষের পর এই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সম্পর্ক তলানীতে পৌঁছায়। তখন থেকেই ভারত-চীন বিমান চলাচল বন্ধ ছিল। কিন্তু, দীর্ঘ পাঁচ বছরের বেশি সময়ে পর ফের তা চালু হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত নয়াদিল্লি ও বেজিংয়ের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, "দীর্ঘ আলোচনার পরে, এখন একমত হওয়া গিয়েছে যে- শীতকালীন সময়সূচী অনুসারে, ভারত ও চীনের নির্দিষ্ট পয়েন্টগুলিকে সংযুক্ত করে সরাসরি বিমান পরিষেবা ২০২৫ সালের অক্টোবরের শেষের দিকে পুনরায় শুরু করা যেতে পারে, দুই দেশের মনোনীত ক্যারিয়ারের বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত এবং সমস্ত পরিচালনাগত মানদণ্ড পূরণ সাপেক্ষে।"
মন্ত্রক আরও জানিয়েছে যে, "এই পরিষেবা চালু হলে তা ভারত ও চীনের মধ্যে জনগণের যোগাযোগকে আরও সহজতর করবে, দ্বিপাক্ষিক বিনিময়কে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।"
সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠকের পর বিমান চলাচল পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, । ওই বৈঠকে দুই নেতাই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সম্পর্ক স্থিতিশীল করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।
কোভিড-১৯ মহামারীর সময় ২০২০ সালের গোড়ার দিকে দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছিল। সীমিত প্রত্যাবাসন পরিষেবা ছাড়া, উভয় পক্ষ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরেও, উড়ান পরিষেবা আর কখনও চালু হয়নি। ২০২০ সালের জুনে গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষের পর সেই বছর সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটে, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কয়েক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে ঠেলে দেয়।
তবে সাম্প্রতিক মাসগুলিতে, সাময়িকভাবে বরফ গলানোর লক্ষণ দেখা গিয়েছে। ভারত গত মাসে চীনা নাগরিকদের ভিসা প্রদান পুনরায় শুরু করেছে। অন্যদিকে চীন কৈলাস মানসরোবর যাত্রায় অংশগ্রহণকারী ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের জন্য প্রবেশাধিকার পুনরায় চালু করেছে।
সরাসরি বিমান যোগাযোগ পুনরুদ্ধারের ফলে শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী এবং পরিবারের জন্য ভ্রমণ সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।