• মণ্ডপের সামনেই ভাগাড়, অবরোধ স্থানীয়দের
    আনন্দবাজার | ০২ অক্টোবর ২০২৫
  • রাস্তার দু’দিকে দু’টি পুজোর মণ্ডপ। মাঝে সেতুর নীচে স্তূপাকৃতি আবর্জনা থেকে বেরোনো দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। ব্যস্ত রাস্তার বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে তৈরি ওই অস্থায়ী ভাগাড় এড়িয়ে চলতে হচ্ছে পথচারীদেরও। দিনের পর দিন এ হেন ভোগান্তি সহ্য করলেও, দুর্গাপুজোয় ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল স্থানীয়দের। নবমীর সকালে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা।

    বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বালির পঞ্চাননতলায়। পরে বালি থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ আধিকারিকদের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। শেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে এলাকা থেকে আবর্জনা সাফ করা হয়।

    বালির জিটি রোডের ৫৪ নম্বর বাস স্ট্যান্ড ও নিমতলা থেকে শুরু পঞ্চননতলা রোড চলে গিয়েছে বালি স্টেশন পর্যন্ত। ওই রাস্তা দিয়ে ভারী গাড়ি থেকে শুরু করে টোটো, অটো, রিকশা— সব ধরনের যান চলাচল করে। বাস স্ট্যান্ড ও বালিঘাট স্টেশন যেতেও ওই রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। ফলে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ওই রাস্তা ব্যবহার করেন।

    রাস্তাটির পাশ দিয়েই গিয়েছে নিবেদিতা সেতু। বছর সাতেক আগে থেকে ওই সেতুর নীচে ভ্যান রিকশার মধ্যে আবর্জনা ফেলা হত। ক্রমশ ভ্যান রিকশা সরে গিয়ে সেতুর নীচে রাস্তাতেই আবর্জনা ফেলা শুরু হয়। অভিযোগ, ধীরে ধীরে বালির বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড থেকে সংগৃহীত আবর্জনা তুলে এনে ওই রাস্তার উপরে ফেলতে শুরু করে পুরসভা। বিগত চার-পাঁচ বছরে তা এতটাই মারাত্মক আকার ধারণ করেছে যে, রীতিমতো ছোটখাটো ভাগাড়ের রূপ নিয়েছে ওই এলাকা।

    পঞ্চাননতলা রোডের দু’পাশে দু’টি পুজো হয়। মিষ্টি, মাংসের দোকানও রয়েছে ওই ভাগাড়ের পাশে। স্থানীয় বাসিন্দা অলোকানন্দা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এত আবর্জনার পাশ থেকে কি কারও মিষ্টি বা মাংস কিনতে ইচ্ছে করবে? মশা-মাছির উৎপাত ও দুর্গন্ধে বাড়ির জানলা খোলা যায় না।’’

    স্থানীয়দের অভিযোগ, শেষ কয়েক বছরে বার বার পুর প্রশাসনের কাছে আবেদন করা সত্ত্বেও ওই ভাগাড় সরানো হয়নি। উল্টে তা আকার-আয়তনে ক্রমশ বাড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দা পার্থ সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘বাধ্য হয়েছি পুজোর মধ্যে রাস্তা অবরোধ করতে। এই শোচনীয় অবস্থা আর সহ্য করা যাচ্ছে না।’’ এ দিন যানবাহন চালকেরাও অবরোধকারীদের সমর্থন করেন। পুলিশের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা হবে।

    কিন্তু প্রশ্ন হল, পুরসভার ভূমিকা কী? এ দিন অবশ্য পুর আধিকারিকদের কাউকে দেখা যায়নি। যদিও এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘পুজোর ছুটি শেষ হলেই সমস্যার সমধানে পদক্ষেপ করা হবে।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)