• 'আমার দরজায় ওসব ফেলবি কেন?', বউয়ের সাহায্য নিয়ে ভাইকে কুপিয়ে দিলেন দাদা! ঘটনায় গায়ে কাঁটা দিচ্ছে প্রতিবেশীদের
    আজকাল | ০৩ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভাইয়ে ভাইয়ে বিবাদ। প্রাণ গেল একজনের। ঘটনার সময়ের কথা ভেবে, কেঁপে উঠছেন সাধারণ মানুষ। ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশ। জানা গিয়েছে, আবর্জনা ফেলা নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত, পরিস্থিতি এমন দিকে গড়ায় যে ভাইকে কুপিয়ে দিলেন অপর ভাই। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার। স্থানীয়সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার, ছোট ভাইয়ের মেয়ে সুনীল, বীরেন্দ্রের (৪০) বাড়ির সামনে আবর্জনা ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। বীরেন্দ্র আপত্তি জানালে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। কিছুক্ষণেই ভাইয়ে-ভাইয়ের বিবাদ তীব্র আকার নেয়।

    অভিযোগ, ঝগড়ার এক পর্যায়ে গিয়ে, সুনীল এবং তাঁর স্ত্রী গুড্ডো ৪০ বছর বয়সী ব্যক্তির মাথায় কুড়াল এবং লাঠি দিয়ে আঘাত করে। গুরুতর আহত হন ওই ব্যক্তি, ব্যাপক রক্তক্ষরণ ঘটে।  বীরেন্দ্রকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় এবং পরে তাঁকে মিরাটের একটি হাসপাতালে রেফার করা হয় শারীরিক পরিস্থিতি বিচারে। সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে  ঘোষণা করেন। এরপর বীরেন্দ্রের স্ত্রী চঞ্চল সুনীল এবং গুড্ডোর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। 

    যদিও ওই দম্পতির কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি বলেই জানা গিয়েছে, প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত। জানা গিয়েছে, ঘটনার পরেই, পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে দু' জনেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। পুলিশ তাঁদের খোঁজ শুরু করেছে। 

    পরিবারের আত্মীয়ের মধ্যে বিবাদের চরম পরিণতির ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশেও। তথ্য, পুরনো সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ এবং সেই বিবাদের জেরে দম্পতি তাঁদেরই এক আত্মীয়কে আঘাত করেন কুঠার দিয়ে। পরিস্থিতি বিচারে, নিজের প্রাণ বাঁচাতে ছুটে গিয়েছিলেন পুলিশের কাছে। কাতর গলায় জানিয়েছিলেন, 'আমাকে বাঁচান'। অভিযোগ, পুলিশ সেসবে কর্ণপাতই করেনি। ওই পুলিশ স্টেশনের কর্তব্যরত পুলিশ উলটে ব্যস্ত ছিলেন নিজের গাড়ি ঠিকমতো ধোওয়া হচ্ছে কি না তা দেখতে। অভিযোগ, পুলিশের কাচে অভিযোগ জানানোর জন্য অপেক্ষা করতে করতেই, আরও কঠিন পরিস্থিতি হল যুবকের। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক হইচই।

    জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে। মধ্যপ্রদেশের ভিন্দ জেলার দাবোহ থানায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে তথ্য, সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে। এর আগেও, ওই থানা নিয়ে আলোচনা হয়েছে নানাবিধ, ফের সংবাদ শিরোণামে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর, অভিযোগ শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা অবহেলা এবং অসংবেদনশীলতার চরম রূপ বলে অভিহিত করেছেন।

    অনেকেই আবার ঘটনাটি জানার পর, সমগ্র বিষয়টিকে 'এমপি আজব হ্যায়, সবসে গজব হ্যায়'-এর একটি উজ্জ্বল উদাহরণ বলে উল্লেখ করেছেন। ঠিক কী ঘটেছে? জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দাবোহ থানার সীমানার আওতাধীন বারথারা গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রের তথ্য, দীর্ঘদিন ধরেই পরিহার পরিবারের সদস্য-আত্মীয়দের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলছিল। মঙ্গলবার সেই বিবাদ জটিল আকার ধারণ করে। সম্পত্তি বিরোধ হিংসাত্মক রূপ নেয় আচমকা। জানা গিয়েছে, নারায়ণ পরিহার এবং কোমল পরিহার তাঁদের আত্মীয় শ্যামু পরিহারকে দেওয়াল তৈরির সময় কুড়াল এবং লাঠি দিয়ে আক্রমণ করেন। গুরুতর আহত হন শ্যামু নামের ওই ব্যক্তি। অভিযোগ, ঘটনাস্থলেই তাঁর প্রবল রক্তক্ষরণ শুরু হয়। 

    জানা গিয়েছে, প্রচুর রক্তক্ষরণের পর, শ্যামু পরিহারকে তাঁর ভাই রামু উদ্ধার করেন এবং তৎক্ষণাৎ জরুরি সাহায্য এবং সুরক্ষার জন্য তাঁকে থানায় নিয়ে যান। বিপত্তি ঘটে সেখানেই, অভিযোগ তেমনটাই। পরিহার পরিবারের অভিযোগ, গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, পুলিশ তাতে কর্ণপাতই করেনি।  তাঁকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সহায়তা বা দ্রুত অভিযোগ শুনে মামলা দায়েরের পরিবর্তে, কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক ব্যস্ত ছিলেন গাড়ি ঠিকমতো ধোওয়া হচ্ছে কি না তা দেখতে। 

     
  • Link to this news (আজকাল)