• সেক্স টয় থেকে পর্ণ সিডি, স্বামী চৈতন্যানন্দ সরস্বতীর আশ্রম থেকে উদ্ধার 'নিষিদ্ধ' সামগ্রীর ভাণ্ডার
    আজকাল | ০৩ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: তথাকথিত ধর্মগুরু স্বামী চৈতন্যানন্দ সরস্বতীর কীর্তিকলাপের জট যত খুলছে, ততই বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। দিল্লি পুলিশ তাঁর আশ্রম থেকে একটি যৌন খেলনা (সেক্স টয়) এবং একাধিক সিডি উদ্ধার করার পর এই রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে। পুলিশের সন্দেহ, ওই সিডিগুলিতে আপত্তিকর ভিডিও রয়েছে।

    বুধবার চৈতন্যানন্দকে দিল্লির বসন্ত কুঞ্জে তাঁর আশ্রমে নিয়ে যাওয়া হয়। আদতে ওড়িশার বাসিন্দা এই বাবার আসল নাম পার্থসারথি। পুলিশ সূত্রে খবর, ৬২ বছর বয়সী ওই বাবা যৌন খেলনার অনুরাগী ছিলেন। তাঁর ঘর থেকেই একটি খেলনা উদ্ধার হয়। এর পাশাপাশি মিলেছে অন্তত পাঁচটি সিডি, যেগুলিতে অশ্লীল ভিডিও রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এক আধিকারিকের কথায়, "এটি তাঁর অসংযত যৌন আচরণের প্রমাণ।"

    উদ্ধার হওয়া জিনিসপত্রের মধ্যে রয়েছে তিনটি জাল ছবিও। এই ছবিগুলিতে অভিযুক্ত চৈতন্যানন্দকে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ব্রিটেনের এক রাজনীতিবিদ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা গিয়েছে। পুলিশের অনুমান, নিজের প্রভাব-প্রতিপত্তি বোঝাতে এবং ভক্তদের চোখে ধাঁধা লাগাতেই এই ছবি ব্যবহার করতেন তিনি। নিজের গুরুত্ব জাহির করার এই প্রচেষ্টা অবশ্য নতুন নয়। এর আগে তাঁর কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ভুয়ো ভিজিটিং কার্ড, যেখানে নিজেকে রাষ্ট্রপুঞ্জের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের 'স্থায়ী দূত' এবং ব্রিকস গোষ্ঠীর 'বিশেষ দূত' হিসেবে দাবি করেছেন চৈতন্যানন্দ।

    মঙ্গলবারই এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ওই ভণ্ড বাবার কীর্তি ফাঁস করে। প্রকাশ্যে আসে ছাত্রীদের পাঠানো তাঁর অশালীন মেসেজ। চ্যাট থেকে দেখা গিয়েছে, এক ছাত্রীকে তিনি 'সুইটি বেবি ডটার ডল' বলে সম্বোধন করতেন এবং দিনভর 'বেবি' বলে মেসেজ পাঠাতেন। একটি কথোপকথনে তিনি এক ছাত্রীকে সরাসরি প্রশ্ন করেন, "তুই আমার সঙ্গে শুবি না?"

    তবে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্যটি হল, চৈতন্যানন্দের নারী পাচার চক্রে জড়িত থাকার ইঙ্গিত। একটি চ্যাটে তাঁকে এক ছাত্রীকে বলতে শোনা যায়, এক "দুবাইয়ের শেখের" যৌনসঙ্গী প্রয়োজন এবং তাঁর কোনও "ভাল বন্ধু" আছে কি না। ছাত্রীটি রাজি না হওয়ায়, চৈতন্যানন্দ তাঁকে চাপ দিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, এটা কী করে সম্ভব এবং একইসঙ্গে তাঁর কোনও সহপাঠী বা জুনিয়রের কথা ভাবতে বলেন।

    প্রসঙ্গত, অন্তত ১৭ জন মহিলাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে অভিযুক্ত চৈতন্যানন্দের বিরুদ্ধে গত আগস্ট মাসে মামলা দায়ের হয়েছিল। তার পর থেকে প্রায় দু'মাস ধরে তিনি পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। অবশেষে রবিবার আগ্রার একটি হোটেল থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি গত ২৭ সেপ্টেম্বর ওই হোটেলে ওঠেন এবং ধরা পড়ার ভয়ে ঘরের মধ্যেই গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন। আপাতত তাঁকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। এর পাশাপাশি তাঁর প্রায় ৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
  • Link to this news (আজকাল)