• উমর খালিদ-শারজিল ইমামদের মুখ বানিয়ে রাবণ দহন এবিভিপি-র, উত্তপ্ত জেএনইউ ...
    আজকাল | ০৩ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তুমুল উত্তেজনা। একে অপরকে নিশানা করছে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি) ও বাম ছাত্র সংগঠনগুলি।

    অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি) বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেছে যে, বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রায় হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে বাম সংগঠনগুলি, এবিভিপি-কে রাবণ দহন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রচারণার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছে। যদিও জেএনইউ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    এবিভিপি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, বামপন্থী  ছাত্র সংগঠগুলি (এআইএসএ, এসএফআই এবং ডিএসএফ) সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ সবরমতী টি-পয়েন্টের কাছে দুর্গা বিসর্জন শোভাযাত্রায় "হিংসাত্মক আক্রমণ" চালিয়েছে। দাবি করা হয়েছে, শোভাযাত্রা লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়েছে। এই হামলায় বেশ কয়েকজন পুরুষ ও মহিলা শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

    এবিভিপি জেএনইউ সভাপতি মায়াঙ্ক পাঞ্চাল বলেছেন, "এটি কেবল একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের উপর আক্রমণ নয়, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎসব ঐতিহ্য এবং শিক্ষার্থীদের বিশ্বাসের উপর সরাসরি আক্রমণ। এবিভিপি কোনও মূল্যে এই ধরনের সাংস্কৃতিক আগ্রাসন সহ্য করবে না।" জেএনইউ-এর এবিভিপি মন্ত্রী প্রবীণ পীযূষ অভিযোগ করেছেন ,"দুর্গা বিসর্জনের মতো পবিত্র অনুষ্ঠানের সময় পাথর ছুঁড়ে মারা এমনকি মহিলা শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমণ নিন্দনীয় এবং লজ্জাজনক।" তিনি প্রশাসনের কাছে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

    জেএনইউ ছাত্র ইউনিয়নের (জেএনইউএসইউ) যুগ্ম সম্পাদক বৈভব মীনাও এই ঘটনার নিন্দা করেছেন, বিষয়টিকে "বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সম্প্রীতি এবং ভ্রাতৃত্বের উপর সরাসরি আক্রমণ" বলে অভিহিত করেছেন।

    তবে, বামপন্থী অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (এআইএসএ) এবিভিপি-র তোলা সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা পাল্টা এবিভিপিকে "রাজনৈতিক প্রচারণার জন্য ধর্মকে ব্যবহার" করার অভিযোগ করেছে।

    এক বিবৃতিতে, এআইএসএ জানিয়েছে যে- এবিভিপি একটি রাবণ দহনের আয়োজন করেছিল। যেখানে জেএনইউ-এর প্রাক্তন ছাত্র উমর খালিদ এবং শারজিল ইমাম, যাঁরা সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভ এবং দিল্লি দাঙ্গার ষড়যন্ত্রের মামলায় বিচারাধীন তাঁদের রাবণ হিসাবে তুলে ধরেছে। এআইএসএ বলেছে, "এটা ইসলামোফোবিয়ার একটি স্পষ্ট এবং জঘন্য প্রদর্শন। রাজনৈতিক সুবিধা অর্জনের জন্য ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগানো হচ্ছে।"

    এবিভিপি-র কাছে এআইএসএ-র প্রশ্ন, কেন তারা নাথুরাম গডসে, গুরমিত রাম রহিম সিং-এর মতো ব্যক্তিত্ব বা ২০২০ সালের দিল্লি দাঙ্গার সময় উস্কানিমূলক বক্তৃতার জন্য অভিযুক্ত বিজেপি নেতাদের ছবি রাবণ দহনের জন্য বেছে নেয়নি?

    এআইএসএ-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "জেএনইউ ঘৃণা এবং ইসলামোফোবিয়ার রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করে," ছাত্রদের "আরএসএস-এবিভিপি-এর বিভাজনমূলক রাজনীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর" আহ্বান জানানো হয়েছে।

    উভয় পক্ষই "ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল" করার এবং "এর সাংস্কৃতিক পরিবেশ বিকৃত করার" প্রচেষ্টা বলে বর্ণনা করার জন্য অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ করেছে।
  • Link to this news (আজকাল)