নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: ওয়ার্ক ফ্রম হোম। বাড়িতে বসেই মাসিক রোজগার। কাজও খুব সহজ। অনলাইনে বিভিন্ন হোটেলের ভালো রেটিং দেওয়া এবং ইউটিউব চ্যানলের ভিডিও লাইক করা! কিন্তু এই কাজ করতে গেলে সর্বস্বান্তও হতে পারেন। কারণ, সোশ্যাল মিডিয়ায় এভাবেই বিজ্ঞাপন দিচ্ছে প্রতারকরা। হোটেল রেটিং, ইউটিউব ভিডিও লাইকের নামে প্রতারণার ফাঁদ পাতছে। তাতে পা দিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন বহু মানুষ। পুলিশ ও সাইবার বিশেষজ্ঞদের কথায়, যে কোনও ধরনের কাজ করার আগে ভালো করে যাচাই করুন। তা না হলে বিপদে পড়তে হতে পারে।
কীভাবে হচ্ছে এই প্রতারণা? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতারকরা প্রথমে এই কাজের টোপ দিচ্ছে। কাউকে ফোন করে বা এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপ করেও টোপ দিচ্ছে। যাঁরা ফাঁদে পড়ছেন, প্রচারকরা তাঁদের প্রথমে কাজও দিচ্ছে। কিছু সিলেক্ট করা হোটেল এবং ইউটিউব ভিডিও পাঠিয়ে রেটিং ও লাইক করতে বলছে। এই কাজের জন্য কমিশন ভিত্তিক পেমেন্টের আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। কাজ শুরু করার ১-২ দিনের মধ্যেই কাউকে ১৫০০ টাকা, কাউকে ২০০০ টাকা কমিশন পাঠিয়ে দিচ্ছে। সেই টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকতেই বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হচ্ছে। কারণ, কাজের টাকা আসছে। অর্থাৎ, মিথ্যে নয়!
এরপরই প্রতারকরা শুরু করছে প্রতারণার আসল খেলা। ফোন করে কর্মরত যুবক বা যুবতীকে বলছে, এই ধরনের কাজ করার সঙ্গে আপনি আমাদের সংস্থা এবং শেয়ারে বিনিয়োগ করতে পারেন। ৪০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত রিটার্ন পাবেন! এরপর প্রতারকরা যুবক-যুবতীদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ বা টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত করছে। বহু মানুষ প্রতারকদের কথায়, লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগও করছেন।
প্রতারকরা একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস তৈরি করছে। যেখানে বিনিয়োগকারীকে দেখানো হচ্ছে, আপনি কত বিনিয়োগ করেছেন এবং রিটার্ন সহ কত ব্যালেন্স দেখাচ্ছে। কিন্তু, যখনই টাকা তুলতে যাচ্ছেন, কেউ টাকা পাচ্ছেন না। মুনাফা তো দূরের কথা, বিনিয়োগ করা অর্থই পাচ্ছেন না। তখন বুঝতে পারছেন, এই ওয়ার্ক ফ্রম হোম, রেটিং, লাইক সবই ভুয়ো। সবই প্রতারণার ফাঁদ!