• ঐতিহ্যবাহী বারাসতের কালীপুজোয় বন্ধ হওয়া কার্নিভাল চালু হোক, চাইছেন নাগরিকরা
    বর্তমান | ০৩ অক্টোবর ২০২৫
  • শ্যামলেন্দু গোস্বামী, বারাসত: শেষ হয়েছে দুর্গাপুজো। জনপ্রিয়তার নিরিখে কালীপুজোতে নাম রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার দুই শহর বারাসত ও মধ্যমগ্রাম। এই দুই শহরের পুজোকে ঘিরে রয়েছে একাধিক গল্পকথা। একটা সময় কালীপুজোর বিসর্জনে শোভাযাত্রা হতো। কালের নিয়মে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, পুরানো ঐতিহ্য কার্নিভাল ফিরে আসুক শহরে, এমনটাই চাইছেন নাগরিকরা।উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত মহকুমার কালীপুজোর ব্যপ্তি বিশেষ। কথিত আছে, সদর শহর বারাসত ও পাশের শহর মধ্যমগ্রামে কালীপুজো শুরুই হয় অবিভক্ত ২৪ পরগনায়। তখন এপার বাংলায় এসে বসবাস করতে শুরু করেছেন ওপার বাংলার মানুষরা। মূলত, তাঁদের হাত ধরে শুরু ২৪ পরগনার কালীপুজো। দুর্গাপুজোতে জেলা সদর শহরে কার্নিভাল হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই। কিন্তু বারাসতের কালীপুজোয় তা না হওয়ায় আক্ষেপ নাগরিকদের। বারাসতের প্রবীণ নাগরিক কল্যাণ ধর বলেন, এখন বারাসতে বড় বড় পুজো হয়। বাজেটও বেশ। প্রথম বারাসতে বড় পুজো করে দেখিয়েছেন ফুটবল খেলোয়াড় মহাদেব সেন। ১৯৫৬ সালে তাঁর আয়োজিত পুজোর নাম রেজিমেন্ট। আজও সেই পুজো বেশ ধুমধামের সঙ্গে হয়ে আসছে। অন্যদিকে বারাসতে অন্য একটি ঐতিহ্যবাহী পুজো হলো কেএনসি রেজিমেন্ট। সময়ের সঙ্গে পুজোর জৌলুস আগের তুলনায় আরও বেড়েছে। তবে কালীপুজোতে বড় করে শোভাযাত্রা হতো। যেটাকে এখন বলা হয় কার্নিভাল। কিন্তু বন্ধ হওয়া কার্নিভাল চালু করার উদ্যোগ কেউই নেয়নি। কলকাতায় দুর্গাপুজোয় কার্নিভাল হচ্ছে, কিন্তু কালীপুজোতে বারাসতে কার্নিভাল করার সদিচ্ছা কেউই দেখাচ্ছে না। অন্যদিকে বারাসতের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সমরেন্দু হেঁস বলেন, আগে কালীপুজোতে বড়সড়ো করে কার্নিভাল হতো। আগের থেকে পুজোর বহর বেড়েছে শহরে। কিন্তু সেই ঐতিহ্য আর বজায় নেই। আমরা চাই সরকার পুরানো সেই ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনুক। তাহলে এর খ্যাতি আরও বাড়বে। এনিয়ে বারাসতের এক পুজো উদ্যোক্তা বলেন, কলকাতায় দুর্গাপুজোর কার্নিভাল দেখতে মানুষের ভিড় জমে। পুজো কমিটি হিসাবে আমাদের দাবি বারাসতে কার্নিভাল করা হোক। এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, বারাসতে কালীপুজোর যথেষ্ট খ্যাতি আছে।  কিন্তু কার্নিভাল হতে গেলে বিভিন্ন বিষয় রয়েছে। তবে, এনিয়ে লিখিত কোনও আবেদন হয়নি। এলে রাজ্যে বিষয়টি জানানো হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)