হাওড়ার নিখোঁজ যুবক ওয়াসিম আক্রামের দেহ উদ্ধারের পর গোটা একটা দিন পেরিয়ে গেলেও, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার হল না। পুলিশ জানায়, মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানানো হয়েছে, খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।
প্রায় তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর বুধবার হুগলির চন্দননগরের লিচুতলা-বেশোহাটা সংলগ্ন একটি আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে ওয়াসিমের দেহ উদ্ধার করে চন্দননগর থানার পুলিশ। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখা যায়, হাত-পা ও মুখ বাঁধা দেহটি পড়ে আছে। পাশে ছিল দু’টি বড় ট্রলি, যার একটির গায়ে রক্তের দাগ ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, বছর তিরিশের ওয়াসিম পাথরের ব্যবসা করতেন। নিখোঁজ হওয়ার দিন সকালে তিনি প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার দামি পাথর নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তাঁর পরিবারের সদস্যেরা জানিয়েছেন, চন্দননগরে কাজি মহসিন নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাঁর লেনদেন আছে জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ওয়াসিম। মহসিনের বাড়ি ভদ্রেশ্বরের খুঁড়িগাছিতে। তবে বছর দুয়েক ধরে সে লিচুতলার ওই ফ্ল্যাট ভাড়ানিয়ে থাকছিল।
চন্দননগরে এ দিন হাজির হন আরও কয়েক জন পাথর ব্যবসায়ী। তাঁদের অভিযোগ, মহসিন এর আগেও অনেককে প্রতারণা করেছে। খুঁড়িগাছিতে আদত বাড়ির পড়শিরাও তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ছক কষে ডেকে নিয়ে ওয়াসিমকে খুন করা হয়েছে। খুনের পর দেহ ব্যাগে ভরে সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা ছিল বলে তাঁদের সন্দেহ।