দশমীর পরের দিন থেকে অফিস! হ্যাংওভার কাটাবেন কী করে?
আজকাল | ০৩ অক্টোবর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: পুজোয় সপ্তাহভর অনেকেই বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে রাতভর পার্টি করেন। খাবার, আড্ডা, মদ্যপান—সব মিলিয়ে জমে ওঠে উৎসবের আমেজ। তবে সমস্যা হয় পরের দিন সকালে। মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব—সব মিলিয়ে কাজের ছন্দপতন ঘটে। হ্যাংওভারের কারণে অফিস হোক বা পড়াশোনা, দিনটাই হয়ে যায় কষ্টকর। বাজারে যদিও হ্যাংওভার কমানোর ওষুধ মেলে, কিন্তু তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কম নয়। তাই ভরসা রাখুন ঘরোয়া খাবারের ওপরই।
কোন কোন খাবার বা পানীয় হ্যাংওভার কাটাতে সাহায্য করতে পারে, দেখে নিন:
১. কলাকলা হ্যাংওভার কাটানোর সবচেয়ে কার্যকরী উপায়গুলির একটি। এতে থাকা পটাশিয়াম শরীরের খনিজ ভারসাম্য ফিরিয়ে আনে এবং ক্লান্তি কমায়।
২. সিদ্ধ ডিমডিমের প্রোটিন ও অ্যামাইনো অ্যাসিড লিভারকে ‘ডিটক্স’ করতে সাহায্য করে। তবে ভাজা বা ঝোল নয়, সেদ্ধ ডিম খাওয়াই সবচেয়ে উপকারী।
৩. টোস্ট বা ক্র্যাকার বিস্কুটঅ্যালকোহলের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে, যার ফলে মাথাব্যথা বাড়ে। টোস্ট বা বিস্কুটের কার্বোহাইড্রেট অতিরিক্ত অ্যালকোহল শোষণ করে হ্যাংওভার কমায়।
৪. ডাবের জলঅ্যালকোহল শরীরকে ডিহাইড্রেট করে। ডাবের জল শুধু শরীরের জলঘাটতি পূরণ করে না, এতে থাকা খনিজ শরীরকে চাঙ্গা করে তোলে।
৫. লিকার চাঅনেকে কফি খেয়ে স্বস্তি পান, কিন্তু সবার ক্ষেত্রে ক্যাফিন কার্যকর নয়। তার বদলে আদা দেওয়া লিকার চা বমি ভাব ও মাথা ঘোরা কমাতে কার্যকর।
৬. ওট্স বা ওটমিলওটমিল শুধু নেশার প্রকোপই কমায় না, শরীরের পুষ্টি উপাদানও বজায় রাখে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ক্লান্তি কমায়।
৭. ফাইবারযুক্ত খাবারমাশরুম, স্যালাড, পপকর্ন বা গ্রিলড চিকেন স্যান্ডউইচের মতো খাবার অ্যালকোহল রক্তে দ্রুত মিশতে দেয় না। ফলে হ্যাংওভারের প্রভাবও কমে।
৮. গ্রিন টি বা হার্বাল টিঅতিরিক্ত মদ্যপানের পর গ্রিন টি লিভারকে ঠান্ডা রাখে এবং আরাম দেয়। ধীরে ধীরে শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
৯. জল ও ফলের রসদিনভর অল্প অল্প করে জল পান করুন। চাইলে ফলের রসও খেতে পারেন। এতে শরীর দ্রুত পুনরুজ্জীবিত হবে।
অর্থাৎ, রাতভর আনন্দের পরের দিনের কষ্ট থেকে বাঁচতে ওষুধের বদলে ভরসা রাখুন এই সহজলভ্য খাবারগুলির ওপরেই।