শয়নকক্ষে গোপন ক্যামেরা, স্ত্রীর আপত্তিকর ভিডিও তুলে এ কী করলেন স্বামী! ছিঃ ছিঃ দেশজুড়ে ...
আজকাল | ০৪ অক্টোবর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে অপরাধের ধরনও যে কতটা ভয়াবহ এবং কদর্য হতে পারে, তার আরও একবার প্রমাণ মিলল বেঙ্গালুরুতে। নিজের স্ত্রী'র সঙ্গেই চরম বিশ্বাসঘাতকতা এবং প্রতারণার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শোবার ঘরে গোপনে ক্যামেরা লাগিয়ে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত মুহূর্তের ভিডিও রেকর্ড করে সেই ভিডিও দেখিয়ে স্ত্রী'কে ব্ল্যাকমেল করার মতো নক্কারজনক অভিযোগ সামনে আসায় তোলপাড় শুরু হয়েছে সিলিকন ভ্যালিতে। শুধু তাই নয়, ওই ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্ত্রীকে বিদেশের গ্রাহকদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনেও চাপ দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ দায়ের হয়েছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর পুত্তেনাহাল্লি থানা এলাকায়। সম্প্রতি এক মহিলা তাঁর স্বামী সৈয়দ ইনামুল হকের বিরুদ্ধে থানায় একগুচ্ছ বিস্ফোরক অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশকে দেওয়া বয়ানে ওই মহিলা জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী গোপনে তাঁদের শোবার ঘরে ক্যামেরা লাগিয়েছিলেন। সেই ক্যামেরায় তাঁদের একান্ত ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও রেকর্ড করা হয়। মহিলার অভিযোগ, "আমার অজান্তেই ওঁ আমাদের ব্যক্তিগত মুহূর্তের ভিডিও রেকর্ড করেছেন এবং তা বিদেশে থাকা বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।"
এর পরেই শুরু হয় আসল নির্যাতন। ওই ভিডিওগুলিকে হাতিয়ার করেই স্বামী তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। মহিলার কথায়, "আমার স্বামী আমাকে চাপ দিতে শুরু করেন যাতে আমি বিদেশে থাকা তাঁর গ্রাহকদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হই। আমি রাজি না হলে তিনি ওই ছবি ও ভিডিওগুলি ইন্টারনেটে ফাঁস করে দেওয়ার হুমকিও দেন।"
এখানেই শেষ নয়, স্বামীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগও এনেছেন ওই মহিলা। তিনি জানান, বিয়ের সময় সৈয়দ ইনামুল হক তাঁর আগের বিয়ের কথা সম্পূর্ণ গোপন করেছিলেন। অর্থাৎ, প্রতারণা করে তাঁকে বিয়ে করা হয়েছিল।
বিয়ের পর থেকেই তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হত বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন তিনি।মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুত্তেনাহাল্লি থানার পুলিশ একটি এফআইআর দায়ের করেছে। স্বামী সৈয়দ ইনামুল হক ছাড়াও আরও তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র এবং হেনস্থার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগপত্রে উল্লিখিত সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনা সামনে আসতেই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে পারিবারিক পরিসরে এমন ভয়াবহ অপরাধের ঘটনায় শিউরে উঠেছে বিশেষজ্ঞ মহল। সম্পর্কের এমন চরম অবক্ষয় এবং গোপনীয়তার অধিকারে হস্তক্ষেপের ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে।