আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২ অক্টোবর দশেরা উদযাপনের সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হল মা দুর্গার আরাধনার নয় দিনব্যাপী উৎসব। সারা দেশজুড়ে এই উপলক্ষে রামলীলার আয়োজন করা হয়, যেখানে রামায়ণের বিভিন্ন দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়। উৎসবের শেষ দিনে রাবণের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। এই বছর এমনই এক রামলীলার অনুষ্ঠানের আগে একটি মজাদার দৃশ্য নেটদুনিয়ায় শোরগোল ফেলেছে।
দেখা যায়, হনুমানের সাজে এক অভিনেতা রাস্তার ধারে কারও জন্য অপেক্ষা করছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই জানা যায় যে তিনি র্যাপিডো বুক করেছেন এবং চালকের জন্যই তাঁর এই অপেক্ষা।
ভাইরাল ক্লিপটির শুরুতে দেখা যাচ্ছে, হনুমানের সাজে ওই ব্যক্তি রামলীলার জন্য দেরি হয়ে যাওয়ায় ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছেন। কিছুক্ষণ পরেই একটি বাইক তাঁর কাছে এসে থামে। চালক ও আরোহীর হাবভাব দেখে মনে হয়, যাত্রা শুরুর আগে ওটিপি মিলিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে সবচেয়ে মজার মুহূর্তটি এর পরেই আসে, যখন হনুমানবেশী ওই ব্যক্তি বাইকে চেপে বসেন এবং নিজের গদা উঁচিয়ে চালককে পথের নির্দেশ দেন।
ইনস্টাগ্রামে ভিডিওটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "রামলীলার জন্য হনুমানজির দেরি হয়ে যাচ্ছে, তাই তাড়াতাড়ি পৌঁছতে র্যাপিডো বুক করেছেন।" এই পোস্টটি দেখার পর নেটিজেনরা মজাদার সব মন্তব্যে ভরিয়ে দিয়েছেন। এক জন লিখেছেন, "যতক্ষণ না তিনি গদা দিয়ে রাস্তা দেখাচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল।"
আর এক জনের মন্তব্য, "উনি তো উড়েই যেতে পারতেন।" এক জনের রসিকতা, "জিপিএস: গদা পজিশনিং সিস্টেম।" এক ব্যক্তি লিখেছেন, "চালক: ওটিপি বলুন। হনুমানজি: 'জয় শ্রী রাম, এ বার চলুন'।"
অন্য এক জনের কথায়, "উনি পবনপুত্র ঠিকই, কিন্তু সেদিন বাতাসে আর্দ্রতা খুব বেশি ছিল, তাই হয়তো উড়তে পারেননি।" আর এক জন যোগ করেছেন, "কেউ ওনাকে ওঁর শক্তির কথা মনে করিয়ে দিন।"
প্রসঙ্গত, রামায়ণে উল্লেখ রয়েছে সীতাকে উদ্ধার করার সময় হনুমান লঙ্কায় আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন। কাকতালীয় ভাবে, এই বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কায় একটি বাঁদরের কারণে দেশজুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছিল। একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ট্রান্সফরমারে ওই প্রাণীটি সংস্পর্শে আসতেই সারা দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, হনুমান ভগবান রামের পাশে থেকে সীতাকে খুঁজে বের করতে সাহায্য করেছিলেন। তিনি সমুদ্র পার হয়ে লঙ্কায় পৌঁছেছিলেন। রাবণের সঙ্গে যুদ্ধের সময় হনুমান তাঁর অসাধারণ শক্তি দিয়ে রাম ও তাঁর সেনাবাহিনীকে সাহায্য করেন। এমনকী, লক্ষ্মণের জীবন বাঁচাতে তিনি চিকিৎসার জন্য আস্ত একটি পর্বত বহন করে নিয়ে এসেছিলেন।